ইত্তিজা হাসান মনির,বরগুনা থেকে :
মাদক ব্যবসায়ী রিয়াজ পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার পুলিশের ফোন স্যার রিয়াজের কাছে কোন টাকা নেই, স্যারের উত্তর তাহলে আজকে রিয়াজ কে ছেড়ে দাও।
পুলিশের হাতে অবৈধ ফিটনেস বিহীন গাড়ী আটক পুলিশ ফাঁড়ির কনস্টেবল স্যারের কাছে ফোন, স্যার গাড়ি আটক করেছি, স্যারের উত্তর ঐ গাড়ী আমাদের নিয়মিত টাকা দেয় ছেড়ে দাও।
এভাবেই চলছে বেতাগী থানা এবং মায়ারহাট পুলিশ ফাঁড়ি।
বরগুনার বেতাগী উপজেলার কাজিরাবাদ গ্রামের মাদক ব্যবসায়ী রিয়াজ তার মেয়ে সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী জান্নাতিকে মাদকাসক্ত মিঠুনের কাছে তুলে দেওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
বরগুনার বেতাগী উপজেলার কাজিরাবাদ ইউনিয়নের কাজিরাবাদ গ্রামের প্রধানমন্ত্রীর উপহার আশ্রয়ন প্রকল্পে মা মেরিনার (৩০) সাথে বসবাস করত জান্নাতি (১৪) বাবা রিয়াজের সাথে মায়ের বিবাহ বিচ্ছেদের পর জান্নাতি জমির উদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীতে লেখাপড়া করতো। একই গ্রামের দুই সন্তানের জনক মোঃ মিঠুন মৃধা পিতা মোঃ শানু মৃধা প্রথমে জান্নাতির মা মেরিনাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়, মেরিনা বিবাহে রাজি না হওয়ায় জান্নাতিকে নিয়ে গতকাল নিরুদ্দেশ হয় মিঠুন মৃধা।
জান্নাতি এবং মিঠুন কোথায় গিয়েছে এলাকার কেউই বলতে পারছেনা। তবে প্রতিবেশীর ধারণা জান্নাতি এবং মিঠুন রাজধানী ঢাকার কোন একটি জায়গায় আত্মগোপন করে রয়েছেন।
মা মেরিনা জান্নাতি কে না পেয়ে বেতাগী থানায় মেয়ের সন্ধান চেয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পত্র দাখিল করেছেন। অভিযোগ পত্রে নিজের স্বামী রিয়াজকে দায়ী করে মেরিনা বলেন আমার মেয়েকে মিঠুনের কাছে কোন কিছুর বিনিময় তুলে দিয়েছে। এলাকার লোকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে রিয়াজ একজন নামকরা মাদক ব্যবসায়ী সে প্রায়ই এই মাদকের জন্য জেলে যায় আবার মুক্ত হয় একই কাজ শুরু করে। রিয়াজের সাথে মাদক ব্যবসায় ও সেবনে সহযোগিতা করেন মিঠুন।
রিয়াজ পিতা এনায়েত একজন নামকরা মাদক ব্যবসায়ী এলাকায় চুরি,ডাকাতি, চিনতাই, সন্ত্রাসী কার্যক্রম বারবার বিবাহ করা সহ বিভিন্ন অপকর্মের সাথে তার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। তার নেতৃত্বে কাজিরাবাদ ইউনিয়নের মাদক সাম্রাজ্যের সৃষ্টি হয়েছে। রিয়াজের কার্যক্রমে একেবারে সন্তুষ্ট নয় এলাকাবাসী।
রিয়াজের অত্যাচারে মানুষ অতিষ্ঠ বিভিন্ন মামলায় জড়িত রিয়াজ বারবার কারা ভোগের পরেও কে বা কাহারা রিয়াজকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসে তা জানে না রিয়াজের বাবা এনায়েত মৃধা। রিয়াজের ভাই এনামুল আক্ষেপ করে বলেন এত খারাপ হয়েছে লজ্জায় মুখ দেখাতে পারি না। বিশিষ্ট সমাজসেবক জনাব পান্ন মৃধা বলেন কাজিরাবাদ ইউনিয়নের মাদক ব্যবসায়ী রিয়াজ কে আইনের আওতায় আনলে এলাকার লোকজন নিরাপদে থাকতে পারত। এমন কোন অন্যায় নেই যেটা রিয়াজ এবং মিঠুন করে না।
বেতাগী থানা অফিসার ইনচার্জ বলেন, মেরিনার অভিযোগ পত্র আমাদের কাছে এসেছে,অপরাধী গ্রেপ্তারের জন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে অপরাধী যেই হোক তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।