বিশেষ প্রতিনিধি :
বরিশালের গৌরনদীতে ভূয়া এমবিবিএস চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে দীর্ঘদিন থেকে এলাকাবাসীর সাথে প্রতারনা করায় রফিকুল ইসলাম (৪৯) নামের এক হাতুরে চিকিৎসককে কারাদন্ড ও জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক। গত মঙ্গলবার দুপুরে ভ্রাম্যমান আদালতের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ আরিফুল ইসলাম প্রিন্স ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন। এ সময় ভূয়া এমবিবিএস চিকিৎসক রফিকুল ইসলামকে এক বছরের কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিনমাসের কারাদন্ডের রায় ঘোষণা করা হয়।
একইসাথে ভূয়া চিকিৎসককে আশ্রয়দাতা উপজেলার টরকী বন্দরের আনোয়ারা মেডিকেল হলের স্বত্তাধীকারি মোঃ শহিদুল্লাহকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ২০দিনের কারাদন্ড দেওয়া হয়। তিনি (শহিদুল্লাহ) তাৎক্ষনিক জরিমানার টাকা পরিশোধ করেছেন। দন্ডপ্রাপ্ত রফিকুল ইসলাম শেরপুর সদরের চরমুচারিয়া গ্রামের আলহাজ্ব আব্দুল ওয়াহেদের ছেলে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, রফিকুল ইসলাম নিজেকে এমবিবিএস চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে ও সাইনবোর্ডসহ প্যাডে এমবিবিএস চিকিৎসক লিখে টরকী বন্দরে আনোয়ারা মেডিকেল হলে বসে দীর্ঘদিন থেকে এলাকার সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা সেবার নামে প্রতারনা করে আসছিলেন।
সূত্রে আরও জানা গেছে, প্রতারনার মাধ্যমে অর্থ উপার্জনের জন্য তিনি দীর্ঘদিন থেকে টরকীর নীলখোলা নামক এলাকার একটি ভাড়া বাড়িতে বসবাস করে আসছিলো। উপজেলার খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের বাকাই বাজারের সেবা মেডিকেল হল নামের তার আরো একটি চেম্বারে তিনি রোগী দেখতেন। সেখানেও সে ভূয়া এমবিবিএস চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে গ্রামের সহজ সরল মানুষের চিকিৎসার নামে অর্থ হাতিয়ে নিতেন। স্থানীয়রা মঙ্গলবার দুপুরে রফিকুল ইসলামকে চ্যালেঞ্জ করলে সে পালানোর চেষ্ঠা করে। এসময় এলাকাবাসী তাকে আটক করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বিষয়টি অবহিত করেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিপিন চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরিফুল ইসলাম প্রিন্সকে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে উল্লেখিত রায় ঘোষণা করা হয়েছে। স্থানীয়দের হাতে আটকের পর অভিযুক্ত রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি এইচএসসি পাশ করার পর আল্টা মেডিসিন কোর্স সম্পন্ন করে চিকিৎসা সেবা প্রদান করে আসছি। এমবিবিএস চিকিৎসক পরিচয়ের ব্যাপারে তিনি বলেন, বিষয়টি আমার ভুল হয়েছে।