বাংলাদেশ আঃলীগের নাম ব্যবহার করে ৭৩ টি ভুঁই ফোঁড় সংগঠনের সয়লাব যা ভবিষ্যতে ক্ষতির কারণ হতে পারে

রাজনীতি

এম শাহীন আলম :
বাংলাদেশের প্রাচীনতম সু-সংগঠিত দল বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ,গত ২০০৮ সাল থেকে দলটি টানা এক যুগের বেশি সময় ধরে রাষ্ট্র ক্ষমতায় থেকে সুনামের সহিত উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখে রাষ্ট্র পরিচালনা করে আসছে,এরেই মধ্যে বিভিন্ন দল থেকে আশা হাইব্রিড নেতা কর্মীসহ এবং দলের সুবিধা ভোগী কিছু লোক নিজেকে জানান দিতে তারা নিজে নিজেই মূল আওয়ামীলীগ অথবা মুক্তিযুদ্ধ অথবা বঙ্গবন্ধু অথবা শেখ হাসিনার নাম তাদের মনগড়া সংগঠনের নাম পাশে যুক্ত করে দলীয় ফায়দা লুটে নেওয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে মূল দলের সুনাম বিনাশ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে,প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে ব্যবহার করে নিজেদের মনগড়া পোস্টার,ফেস্টুন, ব্যানারে উন্নয়নের চিএের ছবি দিয়ে সংগঠনের সাথে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে,যে সমস্ত সংগঠনের মুল আওয়ামীলীগের সাথে কোন প্রকার সংযোগ নেই বলে মুল দলের বিশ্বস্ত সূএে জানা যায়,এছাড়াও গত কিছু দিন আগে এসমস্ত ভুঁই ফোঁড় সংগঠনের ব্যাপারে দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সর্তক বার্তাও দিয়েছেন এবং বলেছেন এইসব সংগঠনের মুল দলের সাথে সম্পর্ক নেই এবং তাদের মূূল দলে ঠাঁই হবে না বলে মন্তব্য করেছেন,জানা যায় এই ভুঁই ফোঁড় সংগঠনের কারনে হাইব্রিড নেতারা সহজে দলে ভিড়তে সুযোগ পাচ্ছে,রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অভিমত এই সমস্ত সংগঠন একটি সু-সংগঠিত দলের জন্য খুব বিপদজনক,তাদের অভিমত এ সমস্ত সংগঠন গুলি যাচাই করে এই মূহুর্তে যথাযথ ব্যবস্হা না নিলে ভবিষ্যতে দলের বড় ধরনের ক্ষতির কারণ হতে পারে,
এমন ভুঁই ফোঁড় সংগঠনগুলো হলো—
১. জননেত্রী শেখ হাসিনা কেন্দ্রীয় লীগ, ২. জননেত্রী শেখ হাসিনা কেন্দ্রীয় সংসদ, ৩. আওয়ামী প্রচার লীগ, ৪. আওয়ামী সমবায় লীগ, ৫. আওয়ামী তৃণমূল লীগ, ৬. আওয়ামী ছিন্নমূল হকার্স লীগ, ৭. আওয়ামী মোটরচালক লীগ, ৮. আওয়ামী তরুণ লীগ, ৯. আওয়ামী রিকশা মালিক-শ্রমিক ঐক্য লীগ, ১০. আওয়ামী যুব হকার্স লীগ, ১১. আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগ, ১২. আওয়ামী পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধা লীগ, ১৩. আওয়ামী পরিবহন শ্রমিক লীগ, ১৪. আওয়ামী নৌকার মাঝি শ্রমিক লীগ, ১৫. আওয়ামী ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী লীগ, ১৬. আওয়ামী যুব সাংস্কৃতিক জোট, ১৭. বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও চেতনা গবেষণা পরিষদ, ১৮. বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগ, ১৯. বঙ্গবন্ধু একাডেমি, ২০. বঙ্গবন্ধু নাগরিক সংহতি পরিষদ, ২১ ওলামা লীগ, ২২. বঙ্গবন্ধু লেখক লীগ, ২৩. বঙ্গবন্ধু প্রজন্ম লীগ, ২৪. বঙ্গবন্ধু যুব পরিষদ, ২৫. বঙ্গবন্ধু ছাত্র পরিষদ, ২৬. বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদ, ২৭. বঙ্গবন্ধু বাস্তুহারা লীগ, ২৮. বঙ্গবন্ধু আওয়ামী হকার্স ফেডারেশন, ২৯. বঙ্গবন্ধুর চিন্তাধারা বাস্তবায়ন পরিষদ, ৩০. বঙ্গবন্ধু ডিপ্লোমা প্রকৌশলী পরিষদ, ৩১. বঙ্গবন্ধু গ্রাম ডাক্তার পরিষদ, ৩২. বঙ্গবন্ধু নাগরিক সংহতি পরিষদ, ৩৩. বঙ্গবন্ধু লেখক লীগ, ৩৪. বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদ, ৩৫. বঙ্গবন্ধু আদর্শ পরিষদ, ৩৬. আমরা মুজিব সেনা, ৩৭. আমরা মুজিব হব, ৩৮. চেতনায় মুজিব, ৩৯. বঙ্গবন্ধুর সৈনিক লীগ, ৪০. মুক্তিযোদ্ধা তরুণ লীগ, ৪১. নৌকার সমর্থক গোষ্ঠী, ৪২. দেশীয় চিকিৎসক লীগ, ৪৩. ছিন্নমূল মৎস্যজীবী লীগ, ৪৪. ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী লীগ, ৪৫. নৌকার নতুন প্রজন্ম, ৪৬. ডিজিটাল ছাত্রলীগ, ৪৭. ডিজিটাল আওয়ামী প্রজন্ম লীগ, ৪৮. ডিজিটাল আওয়ামী ওলামা লীগ, ৪৯. বাংলাদেশ আওয়ামী পর্যটন লীগ, ৫০. ঠিকানা বাংলাদেশ, ৫১. জনতার প্রত্যাশা, ৫২. রাসেল মেমোরিয়াল একাডেমি, ৫৩. জননেত্রী পরিষদ, ৫৪. দেশরত্ন পরিষদ, ৫৫. বঙ্গমাতা পরিষদ, ৫৬. বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব পরিষদ, ৫৭. আমরা নৌকার প্রজন্ম, ৫৮. আওয়ামী শিশু যুবক সাংস্কৃতিক জোট, ৫৯. তৃণমূল লীগ, ৬০. একুশে আগস্ট ঘাতক নির্মূল কমিটি, ৬১. আওয়ামী প্রচার লীগ, ৬২. সজীব ওয়াজেদ জয় লীগ, ৬৩. বাংলাদেশ তথ্যপ্রযুক্তি লীগ, ৬৪. আওয়ামী শিশু লীগ, ৬৫. আওয়ামী তৃণমূল লীগ, ৬৬. আওয়ামী তরুণ প্রজন্ম লীগ, ৬৭. আওয়ামী চাকরিজীবী লীগ, ৬৮. বাংলাদেশ জনসেবা লীগ, ৬৯. আওয়ামী শিশু-কিশোর লীগ, ৭০ অভিভাবক লীগ, ৭১ উদ্যোক্তা লীগ, ৭২. আওয়ামী অনলাইন লীগ এবং ৭৩. বিশ্ব আওয়ামী অনলাইন লীগ।

Leave a Reply

Your email address will not be published.