ভাগ্য দেখতে সিনেমাহলে দর্শকদের উপচে পড়া ভিড়

বিনোদন

রিয়েল তন্ময় :
গত ৩রা ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী মুক্তি পেয়েছে চিত্রনায়ক মুন্না অভিনীত সিনেমা ‘ভাগ্য’। এ সিনেমায় মুন্নার বিপরীতে অভিনয় করেছেন চিত্রনায়িকা নিপুণ। মাহবুবুর রশিদ পরিচালিত এ সিনেমাটি দেশের ২১টি প্রেক্ষাগৃহে একযোগে মুক্তি পেয়েছে। আজ ৫ ফেব্রুয়ারি সিনেমাটি মুক্তির তৃতীয় দিন। প্রথম দিনের মত তৃতীয় দিনেও প্রেক্ষাগৃহ গুলোতে সিনেমাপ্রেমীদের ভিড় দেখা গেছে। সিনেমাটি দেখার পর ইতিবাচক মন্তব্যও করেছেন দর্শকরা।

দুপুরে যমুনা ব্লকবাস্টারে সরেজমিনে দেখা গেছে দর্শকে পরিপূর্ণ ছিল প্রেক্ষাগৃহ। এদিকে পুরোনো ঢাকার ইংলিশ রোডের ‘চিত্রামহল’ ও জিঞ্জিরার ‘লায়ন সিনেমাস’ হল ঘুরে দেখা গেছে- হলও দর্শকের ভিড়। এ সিনেমার মধ্য দিয়ে লায়ন সিনেমাসে দীর্ঘদিনের দর্শকখড়া কেটেছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। তারা বলেন, লায়ন সিনেমাসে এখন পর্যন্ত কোনো শো শতাধিক দর্শকও হয়নি! এ অবস্থায় ‘ভাগ্য’ ভালো দর্শক টেনেটে, এটা আমাদের জন্য সুখবর!

ঢাকা ছাড়াও বন্দর নগরী চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, বগুড়াসহ সারাদেশে ২১ প্রেক্ষাগৃহে ‘ভাগ্য’ দেখতে দর্শক ভীড় করছে। এ ব্যাপারে মধুবন সিনেপ্লেক্সের কর্ণধার রুবেল বলেন- আমরা এতটা প্রত্যাশা করিনি। বাস্তবতা হলো দর্শক আসছে এবং উপভোগ করছে। সিনেমাটি খুবই পরিচ্ছন্ন বলেই হয়তো দর্শক আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। শুনেছি অন্যান্য জায়গাতেও দর্শক জোয়ার বইছে।

যশোর মনিহার সিনেমাহল থেকে জানিয়েছেন- সত্যি বলতে পরাণ ও হাওয়ার পর খুব বেশি দর্শক মণিহারে আসেনি কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে ‘ভাগ্য’ সিনেমাটি দেখতে প্রচুর দর্শক সমাগম হয়েছে, রীতিমত ঈদের আনন্দ।

একই চিত্রের খবর পাওয়া গেছে সিলভার স্ক্রিন (চট্টগ্রাম), নিউ মেট্রো (নারায়ণগঞ্জ), সংগীতা (খুলনা), রূপকথা (পাবনা) সিনেমা হলগুলোতে। পাবনায় টিকিট না পাওয়ায় হাতাহাতির ঘটনাও ঘটেছে বলে স্থানীয় সিনেমাপ্রেমীরা জানিয়েছেন।

ভাগ্য নিয়ে চিত্রনায়ক মুন্না বলেন, ‘ভালোভাবে ছবির কাজটি করার চেষ্টা করেছি। দর্শক আমার সে কাজের স্বীকৃতি দিয়েছেন। তাদের প্রতি আমার শ্রদ্ধা। আমি তারকা অভিনেতা নই, তবে আমার দর্শক আছে এ দৃশ্যগুলোই তার প্রমাণ। সিনেমার সংকটে দর্শকখরায় নিজেকে প্রমাণের চেষ্টা করেছি, আজ আমি বলতে পারি- আমি স্বার্থক।’

দেশপ্রেম ও সামাজিক গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে ‘ভাগ্য’ সিনেমাটি। এতে আরও অভিনয় অভিনয় করেছেন প্রয়াত মাসুম আজিজ, গুলশান আরা, সাংকো পাঞ্জা, জেসমিন, আফসানা নূপুর, গাঙ্গুয়া, সাবিহা জামান প্রমুখ।

সিনেমাটির কাহিনি, সংলাপ ও চিত্রনাট্য লিখেছেন নির্মাতা মো. মাহবুবুর রশিদ। সহযোগী পরিচালক ছিলেন নিরঞ্জন বিশ্বাস। ছবির গানে কণ্ঠ দিয়েছেন বেলাল খান, দিনাত জাহান মুন্নী, স্মরণ, কাজী শুভ, সুস্মিতা সাহা। সংগীত পরিচালনা করেছেন ঝংকার খন্দকার।

Leave a Reply

Your email address will not be published.


The reCAPTCHA verification period has expired. Please reload the page.