ভোলা প্রতিনিধি :
ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলা দেউলা ৬ নং ওয়ার্ডের এর বাসিন্দা মোঃ আনছার আলীর মেয়ে রিপা বেগমের বিয়ের পর থেকে তার জীবনে আসে নানা অমানবিক নির্যাতন।সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, কুতুবা ৯নং ওয়ার্ডের হাওলাদার বাড়ির মোহাম্মদ শহিদুল্লা হাং ছেলে সজিবের সাথে রিপার বেগমের দুই লক্ষ টাকা দেনমোহর ধার্য করে বিয়ে হয়।কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস যৌতুকের দাবিতে রিপার উপর নেমে আসে নানা রকম শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। অভিযোগ করে রিপা জানায়,আমার বিয়ের পর থেকে আামার শ্বশুরবাড়ির লোকজন যৌতুকের দাবিতে আমাকে বিভিন্ন রকম চাপ দিয়ে আসছিল। আমি যখন সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা তখন আমার শ্বশুরবাড়ির লোকজন আমাকে জোরপূর্বক আল্ট্রাসনোগ্রাম করার পর আমার কন্যা সন্তান নিশ্চিত হওয়ার পরে আমাকে আমার বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। আমার কন্যা সন্তান জন্ম হওয়ার কারনে
আমার স্বামী আমার ন্যূনতম খোঁজ নেই নি। বরং সে জানায় ছেলে সন্তান
না হয়ে মেয়ে সন্তান জন্ম নেওয়ার কারনে আমাকে ডিভোর্সের হুমকি দেয়। আমার শ্বাশুড়ি বিভিন্ন সময় আমাকে মারধর ও হুমকি প্রধান করে। দিনে দিনে তাদের অত্যাচারের মাএা বাড়তে থাকে। আমার সুখের জন্য আমার বাবা বিয়ের সময় আমার স্বামীকে স্বর্নের চেইন আংটি নগদ গাড়ি কিনার জন ১ লক্ষ টাকা দেয় তারপর একটি সংসারের জন্য যাবতীয় সকল ধরনের মালামাল দেয় ।কিন্তু আমার শ্বশুর বাড়ির লোক আবারও ছেলের ব্যাবসার জন্য ৩ লক্ষ টাকা যৌতুক চায়। কিন্তু আমার বাবার পক্ষে আর একটি টাকাও তাদেরকে দেওয়া সম্ভব না। কোন উপায় না পেয়ে আমি কোর্টে গিয়ে যৌতুক মামলা দেই। মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর কাছে আমার আকুল আবেদন মেয়েদেরকে যৌতুকের জন্য কোন পরিবার যাতে হেনস্থা করতে না পারে। আর যৌতুক লোভী অমানুষদেরকে কঠিন শাস্তি দেওয়া হউক।