শাহাবুদ্দিন ভোলা থেকে :
ভোলার দৌলতখান উপজেলার খায়ের হাটে কলেজ শিক্ষার্থী ও গৃহবধূ রোকসানা বেগমের রহজস্যজনক মৃত্যুর বিচারের দাবিতে বেলা ১২ঃ৩০ ঘটিকার সময় বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
গত শনিবার (১১ জুলাই) দুপুরে উপজেলার খায়েরহাট হাসপাতালের সামনে ঘন্টাব্যাপী এ কর্মসূচি পালন করেন তার সহপাঠী ও এলাকাবাসীসহ মানববন্ধনে একাত্মতা প্রকাশ করে অংশগ্রহণ করেন( ডিজিটাল আন্তজাতিক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ন মহাসচিব মোঃ বাহাদুর চৌধুরী) (জাতীয় দৈনিক মুক্ত খবর-এ প্রতিনিধি স্টাপ রিপোর্টার দৈনিক রূপালীদেশ এর সাধারণ সম্পাদক মোঃ হুমায়ুন আহাম্মেদ) সহ সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
নিহত রোকসানা বেগম উপজেলার দক্ষিণ জয়নগর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম জয়নগর গ্রামের আবুল কাশেমের মেয়ে ও ভোলা সরকারি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের মেধাবী শিক্ষার্থী।
উক্ত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, নিহত রোকসানা বেগমের পিতা আবুল কাশেম, চাচা এম এ তাহের ও তার সহপাঠীরা বন্ধুরা।
এসময় বক্তারা বলেন, যৌতুকের দাবিতে পরিকল্পিতভাবে নির্যাতন করে তার স্বামী রুবেল ও তার পরিবারের সদস্যরা রোকসানা বেগমকে হত্যা করে। এ ঘটনার একমাস পেরিয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত সঠিক তদন্ত হয়নি। তাই তারা বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচির মাধ্যমে এ ঘটনার মামলা গ্রহণসহ সঠিক পুলিশি তদন্তের দাবী করেন। নিহত রোকসানার পরিবারের দাবি আরো বলেন,নিহত রোকসানাকে যৌতুকের দাবিতে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যা-কানান্ডের সাথে জরিত রুবেলসহ সকলকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে ফাঁসীর দাবি জানান তারা।
উল্লেখ্য, একই ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের দিঘীরপাড় বাড়ির নুর মোহাম্মদের ছেলে রুবেল, কলেজ শিক্ষার্থী রোকসানা বেগমকে বিভিন্ন সময় প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলো। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরে রোকসানা বেগম তার পরিবারে অজান্তে রুবেলকে গত ২০ নভেম্বর বিয়ে করে। বিয়ের কিছু দিনপর থেকে রুবেল বিভিন্ন সময় রোকসানা বেগমকে তার বাবার কাছ থেকে যৌতুক এনে দেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। কিন্তু রোকসানা বেগমের পরিবারের অনুমতি ছাড়া বিয়ে করায় বাবার বাড়ি থেকে যৌতুক আনতে অনিচ্ছুক প্রকাশ করলে রুবেল তাকে শারীরিক নির্যাতন করে। এঘটনার পর গত ১০ জুন বুধবার বিকেলে রোকসানা বেগম শ্বশুড় বাড়িতে রহস্যনজক মৃত্যু হয়। এরপর থেকে স্বামী রুবেলসহ পরিবারের সকল সদস্যরা পলাতক রয়েছে।