ভয়ঙ্কর করোনা: নাঃগঞ্জে ১দিনে ৭ মৃত্যু, ডিসি-এসপিসহ শীর্ষ ৬ কর্মকর্তা কোয়ারেন্টিনে

স্বাস্থ্য

অনলাইন নিউজ ডেস্ক :
করোনা আতঙ্কটা দিন দিন নারায়ণগঞ্জে বিস্তৃতি বাড়ছে। জেলার গন্ডি ছাড়িয়ে সারাদেশেই এখন করোনার ভয়ঙ্কর রূপের নাম নারায়ণগঞ্জ হয়ে দাড়িয়েছে। এ জেলার কোন বাসিন্দা অন্যত্র গেলেই সাথে সাথে অ্যাকশন হচ্ছে- হোম কোয়ারেন্টিন অথবা লকডাউন।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম রোগী পাওয়া গিয়েছিল নারায়ণগঞ্জেই; এখন ঢাকার পর নারায়ণগঞ্জেই রোগীর সংখ্যা বেশি। সীমিত এলাকায় বেশি রোগী পাওয়ার ঘটনা যে স্থানগুলোতে ঘটছে, তার মধ্যে নারায়ণগঞ্জে সেই ক্লাস্টার পাওয়ার কথা আগেই জানিয়েছিল আইইডিসিআর।

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, ক‌রোনাভাইরাস জ‌নিত ও উপস‌র্গে শুধুমাত্র এনসিসি’র অধীনের অঞ্চলে ১৮ ঘন্টায় ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে দুই ব্যক্তি মারা যাওয়ার পরও সাধারণ নিয়মে দাফন করা হয়েছে। সংরক্ষণ করা হয়নি নমুনাও।

৭ এপ্রিল ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে যে নতুন ৪১ রোগী শনাক্ত হয়েছিল, তার মধ্যে ১৫ জনই নারায়ণগঞ্জের। এরপরই পূর্ণ লকডডাউন করা হল জেলাটিকে। তার মধ্যেও ৮ এপ্রিল আরও ৮ জন শনাক্ত হয়েছে। সরকারি হিসেবে দেশে এই পর্যন্ত যে ২০ জন কোভিড-১৯ রোগী মারা গেছে, তার ৫ জন নারায়ণগঞ্জের।তবে, বিভিন্ন গণমাধ্যম, পুলিশ ও স্থানীয় কাউন্সিলরদের দেওয়া তথ্য মতে, নারায়ণগঞ্জে করোনায় কিংবা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু হয়েছে ব্যক্তির সংখ্যা ১১ জন।

এদিকে, বুধবার রাত থেকে চিন্তার রেখায় ভাজঁ ইকটু বেশিই পরেছে। গণমাধ্যমে যখন খবর প্রকাশ হয় জেলার শীর্ষ কর্মকর্তাদের কোয়ারেন্টিন বা আইসোলেশনে থাকার বিষয়টি। করোনা প্রতিরোধ বা পরিস্থিতি মোকাবেলায় শুরু থেকে ওই কর্মকর্তাবৃন্দ পরিশ্রম করছেন।

সূত্র জানায়, নারায়ণগঞ্জের জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোঃ জসিম উদ্দিন, জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) জায়েদুল আলম, জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সদস্যসচিব ও জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ ইমতিয়াজ, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদা বারিক, সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) ডাঃ মোঃ আসাদুজ্জামান হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন এবং করোনা ফোকাল পারসন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম আইসোলেশনে আছেন।

বুধবার দুপুরে জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিনের করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় আইইডিসিআরে পাঠানো হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জন এবং জেলা করোনা ফোকাল পারসন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম তাঁরা কেউ বুধবার অফিস করেননি। তবে তাঁদের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে পাওয়া গেলেও জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিনের মুঠোফোন রিসিভ করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সেলিম 

Leave a Reply

Your email address will not be published.