বিশেষ প্রতিনিধি :
রংপুরে মানবাধিকার কর্মী পরিচয়ে অনুমতি বিহীন ওয়াকিটকি ব্যবহার করে ইউনিয়ন পরিষদের পরাজিত চেয়ারম্যানকে পুনরায় ভোট গননার মাধ্যমে জিতিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেখিয়ে ৯ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ এর ঘটনায় মোঃ আহসান হাবীব রোমিও এবং তার স্ত্রীসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়,রংপুর বদরগঞ্জে দক্ষিন রাজারামপুর বগুড়াপাড়া থানা এলাকার ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে কারচুপির হয়েছে তাই নিবার্চন কমিশনার কে টাকা দিয়ে পুনরায় ভোট গননার মাধ্যমে পরাজিত প্রার্থী মোঃ আয়নাল হক কে বিজয়ী করা মিথ্যা আশ্বাস দেখিয়ে মানবাধিকার কর্মী পরিচয়ে দিয়ে মোঃ আহসান হাবীব রোমিও এবং তার স্ত্রীসহ ৪ জন ৯ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করে এবং সেই আত্মসাৎ করা টাকা ফিরিয়ে না দিয়ে রোমিও তার সাঙ্গপাঙ্গদের সহযোগিতায় বাদী সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ আয়নাল হক কে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করে।
এই বিষয়য়ে বাদী মোঃ আয়নাল হক জানায়,আমি উক্ত নির্বাচনে ১০ নং মধুপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলাম।এবারের নির্বাচনে আমি পরাজিত হয়েছি,তবে আমার বিশ্বাস ছিল আমি জয়ী হব তবে ভাগ্যের নির্মম পরিহাস তা সম্ভব হয় নি।পরবর্তীতে মানবাধিকার কর্মী মোঃ আহসান হাবীব রোমি তার স্ত্রীসহ চার জন আমাকে ভোট জালিয়াতি হয়েছে এমন সব তথ্য দিয়ে আমার মনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে এবং নির্বাচন কমিশনার কে টাকা দিয়ে পুনরায় ভোট গননা সম্ভব এমন আশ্বাস দিয়ে আমার মনে আশার আলো সৃষ্টি করে।তারা দাবি করে ১৫ লক্ষ টাকার বিনিময়ে পুনরায় ভোট গননা করে আমাকে উক্ত নির্বাচনে জয় লাভ করাবে।পরে তাদের সাথে আমার ৯ লক্ষ টাকা চুক্তি হয়।
তিনি আর জানান,আমি তাদের কথার জালে পড়ে এবং তার ওয়াকিটকিতে কথা বলকর স্টাইল দেখে বিগত ০২-০১-২০২২ তারিখে দুপুর ২ ঘটিকার সময় তার বাসায় গিয়ে ৯ লক্ষ টাকা দিয়ে আসি।টাকা নেওয়ার সময় রোমিও তার স্ত্রী ও আর দুই জন উপস্থিতি থেকে গুনে গুনে বুঝিয়া নেয়।তবে তাদের কথামত তারা পুনরায় ভোট গননা করাতে সফল হয় নি,তাদের কাছে নির্বাচনের পুনরায় ভোট গননার বিষয় জানতে চাইলে আজ কাল আজ কাল করে তালবাহানা করতে শুরু করে।তাদের কাছে আমি আমার টাকা ফিরিয়ে নিতে গেলে রোমিও আমাকে ওয়ান ব্যাংকের তার নিজ নামের একাউন্টের ৪ লক্ষ টাকা করে দুইটি চেক দেয় এবং বাকি টাকা পরে দিবে বলে আশ্বাস দেয়।বাকি টাকা ত দুরের কথা চেকের টাকাও আমি তুলতে পারি নি ব্যাংকে টাকা নেই।তার কাছে টাকা চাইতে গেলে সে তার দলবল নিয়ে আমাকে গালাগালিসহ প্রাণ নাশের হুমকিও দেই তাই আমি বাধ্য হয়ে আইনের আশ্রয় নিয়েছে।
ভোট গননা ও কারচুপির বিষয় জানতে চাইলে বিজয়ী প্রার্থী বলেন,আমি জনগণের ভোটের কারনেই বিজয় লাভ করেছি,তারা আমাকে অবশ্যই যোগ্য মনে করেই বিজয়ী করেছে কোন কারচুপির মাধ্যমে নয়।তবে নির্বাচন কমিশন যদি মনে করে পুনরায় ভোট গননা করতে হবে তাতে আমার কোন আপত্তি নেই।আমি আইনের প্রতি আস্থাশীল।
বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের নেতারা বলেন,প্রকৃত মানবাধিকার কর্মীরা কখনোই নিজেরাই মানবাধিকার লঙ্ঘন করে এরকম ধান্দাবাজি করতে পারে না।রোমিও তার স্ত্রী ও বাকি সদস্যরা আয়নার সাহেবের সাথে যে প্রতারনা করেছে তা ক্ষমার অযোগ্য।তার মত প্রতারকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
সিটি মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,মানবাধিকার কর্মী হয়ে যদি নিজেরাই মানবাধিকার লঙ্ঘনের কাজ করে এটা কোন ভাবেই মেনে নেওয়া যাবে না।আমি নিরপেক্ষ ভাবে বলতে চাই ভোট পুনরায় গননা হবে কি না সেটা নির্বাচন কমিশনের বিষয়, তবে অভিযুক্তদের এমন অপরাধ ক্ষমা করার মত নয় তাই প্রকৃত সত্য ঘটনা উন্মোচন করে অপরাধীর কঠোর শাস্তির দাবি করছি।
অভিযোগ তদন্তকারী এস আই তপন জানায়,আমি অপরাধীর সাথে কখনোই কোন আপোষ করি না,অপরাধী প্রমানিত হলে অবশ্যই শাস্তি পাবে।পাশাপাশি অপরাধীর কোন পরিচয় থাকে না সে যত বড়ই প্রভাবশালী হোক না কে তার পরিচয় একটি সে অপরাধী বলেও জানান তিনি।
সার্বিক ঘটনার ও তাদের বিরুদ্ধ আনিত অভিযোগের বিষয় জানতে অভিযুক্ত রোমিও তার স্ত্রীসহ বাকি সকলের সাথে মুঠো ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ফোন ধরেন কেউ।