আনোয়ার হোসেন :
রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলায় ভুমিহীন ও অসহায় পরিবারগুলো মাথা গোঁজার ঠাঁই করে নিয়েছে গড়ের উপর। মাটির ঘর নির্মাণ করে নামমাত্র ছাউনি দিয়ে রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে রাত কাটাচ্ছেন তারা।
আকাশ থেকে বৃষ্টি নামলে তাদের কষ্টের শেষ নেই । অর্থের অভাবে ঘর তৈরী করতে না পারায় বেশকিছু পরিবারের মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করছে। উপজেলার ৮ নং রায়পুর ইউনিয়নের চৌকিরঘাট বাজার হইতে চন্দ্র কোনা পর্যন্ত, চতরা ইউনিয়নের শমসের পাড়া থেকে ধর্মদাস পলিপাড়া পর্যন্ত গড়ের উপর হাজারো মানুষের বসবাস।
আবার অনেক ভুমি খেকো গড়ের খাস জায়গা দখল নিয়ে পাকা ঘর নির্মাণ করেছে আবার কেউ বা করেছে বিশাল দোকান।
বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা ৫০ টিরও বেশি ভুমিহীন পরিবার মাটির ও টিনের ঘর তৈরী করে রাত কাটানোর জন্য আশ্রয় করে নিয়েছে। এছাড়া বাড়ি ঘর নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়া ভুমিহীন পরিবারের লোকজন ওই গড়ে ঠাঁই করে নিয়েছে। অনেকে আবার প্রতাবশালীদের দখল করে নেয়া জায়গা টাকা দিয়ে ক্রয় করে ঘর বানিয়েছেন। এগুলোর মধ্যে ৩৫-৪০ টির মতো পরিবার দিন এনে দিন খায়।তাদের ঘরের ভিতর থেকে আকাশের দৃশ্য চোখে পড়ে। বৃষ্টি বাদলের সময় বড় অসহায় হয়ে পড়ে এসব পরিবারের লোকজন।
ভুমিহীন অনেকে বলেন তারা গত ৩০ বছর থেকে ওই গড়ের উপরই বসবাস করছেন। মাটির তৈরী দেয়াল বর্ষা এলেই ধ্বসে ভেঙে যায়। মেরামত করতে হচ্ছে বছরের পর বছর। এরা সরকারের দেয়া উপহার মডেল ঘর প্রত্যাশা করলেও কোথায় কিভাবে চাইতে হবে তা তারা জানে না ? কয়েকটি ভুমিহীন পরিবারের লোকজন জানায়,ইউনিয়ন ও উপজেলা ভুমি অফিসে ঘরের জন্য যোগাযোগ করেও কোন ফল পাননি। কতদিনের মধ্যে উপহার ঘর জুটবে তাদের কপালে ? এই হিসাব নিয়েই তাদের দিন কাটছে।