আনোয়ার হোসেন,রংপুর থেকে :
রংপুরের পীরগঞ্জের কুমেদপুর ইউপি চেয়ারম্যান কর্তৃক পরিষদের আসবাবপত্র ভাংচুরসহ গ্রাম্যপুলিশের ইউনিফর্ম ছিড়েঁ এলাকার প্রায় দুই শতাধিক ব্যাক্তির নামে সাজানো মিথ্যা মামলা দায়েরের ব্যার্থ চেষ্টা, এ যেন শাঁকদিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টায় গুড়েবালি অবস্থা।
প্রকাশ, গত ২০ ফেব্রæয়ারি সকালে উক্ত ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম গ্রাম্য পুলিশকে দিয়ে বাজেশীবপুর গ্রামের মৃত খবির উদ্দিনের পুত্র আব্দুল মতিন মিয়া (৫০) কে নির্ধারিত কোন অভিযোগ ছাড়াই ইউপি পরিষদে ডেকে নেয়। এর পর মতিনকে একটি কক্ষে আটকিয়ে রাখা হয়। পরে আটককৃত ব্যাক্তির স্বজন ও শত শত প্রতিবেশীরা পরিষদে এসে চেয়ারম্যানের নিকট আটকের বিষয় জানতে চাওয়া হলে চেয়ারম্যান আগত জনতাকে টিউবয়েল চুরির কথা জানিয়ে দেন। চেয়ারম্যান এর এ মিথ্যা অপবাদে এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে মারমূখি হয়ে উঠে, পরে অবস্থা বেগতিক দেখে আটককৃত ব্যাক্তিকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় চেয়ারম্যান। এ সংবাদ দ্রæত ছড়িয়ে পড়লে আরও কয়েক হাজার লোকের সমাগম ঘটে উক্ত ইউপি চত্তরে। চেয়ারম্যান আগত হাজার হাজার লোকের সমাগমের রোষানল থেকে বাঁচতে নিজেই তার অফিস কক্ষের ভিতরে তালাদিয়ে অবরুদ্ধ হয়ে কক্ষের চেয়ার ও অফিসের সংরক্ষিত কাগজপত্র ছিটকে দেয়াসহ তার দুইজন অনুগত গ্রাম্য পুলিমের ইউনিফর্ম নিজেরাই ছিড়েঁ মোবাইলে ভিডিও ধারন করে প্রসাশনকে খবর দেন। খবর পেয়ে পীরগঞ্জ উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) খায়রুল ইসলাম, পীরগঞ্জ থানার অফিসার্স ইনচার্জ আব্দুল আউয়াল সঙ্গীয় ফোসসহ ঘটনা স্থলে এসে বিক্ষুদ্ধ জনতাকে শান্ত করলে চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলামকে উদ্ধার করে নিয়ে যান বলে এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শিদের বিবরনে জানা যায়। যা বেশ কয়েকজন স্থানীয় সাংবাদিকের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরাসরি লাইভ প্রচার হয়। পরে সন্ধ্যায় চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম তার অপকর্ম ও ক্ষমতার অপব্যবহারে বিষয়টি ধাপাচাঁপা দেয়ার জন্য এলাকার প্রায় দুই শতাধিক ব্যাক্তির নামে নিজেদের সাজানো নাটকের ভিডিও চিত্র দিয়ে মিথ্যা মামলা দেয়ার জন্য রাত ১২টা পর্যন্ত তদ্বির চালান। কিন্তু পীরগঞ্জ থানার বিচক্ষন অফিসার্স ইনচার্জ আব্দুল আউয়াল চেয়ারম্যান এর এ মিথ্যা মামলাটি রেকর্ড হয়নি। তিনি বলেন-এটি চেয়ারম্যান ও এলাকাবাসীর মধ্যে একটি ভুল বোঝাবুঝি মাত্র, আমরা সাময়িক পরিস্থিতি নিয়োন্ত্রন করেছি। চেয়ারম্যান এলাকাবাসীর বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য এসেছিলন, পাশাপাশি আবদুল মতিনের পক্ষের লোক জনও এসছিলেন। আমরা এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রাখার জন্য কোন পক্ষের মামলা গ্রহন করিনি। প্রায় দুই শতাধিক এলাকাবাসীর বিরুদ্ধে চেয়ারম্যানের মিথ্যা মামলা গ্রহন না করায় সুধিমহলসহ এলাকাবাসী পীরগঞ্জ থানার বিচক্ষন অফিসার্স ইনচাজ (ওসি)”র প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।