রোহিঙ্গাদের অবাধে বিচরণের ফলে দিন দিন টেকনাফে বাড়ছে অপরাধ প্রবণতা

অপরাধ

মোঃ আরাফাত সানি, টেকনাফ থেকে :
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাইরে যাচ্ছেন কাজ কর্ম অপরাধ কর্মকান্ডে জড়িয়ে যাচ্ছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, রোহিঙ্গাদের বিশাল একটি অংশ জেলাসহ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ছে। তাদের অনেকেই খুন, অপহরণ, মাদক সহ শ্রম বাজার দখল সহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে। রোহিঙ্গারা ক্যম্প থেকে বের হওয়ার সুযোগে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে মাদক ও মানবপাচারকারি চক্র। ইতোমধ্যে এই চক্রের বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।

কক্সবাজার সীমান্ত উপজেলা টেকনাফে দিন দিন অবৈধ রোহিঙ্গাদের অবাধ বিচরণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। মাঝে মধ্যে ঢাক ডোল পিটেয়ে রোহিঙ্গা আটক বিষয়ে খবর শুনা গেলেও দু’একদিন পর বরফের মতো ঠান্ডা হয়ে পড়ে। এই রোহিঙ্গাদের অবাধে বিচরণের ফলে স্থানীয় শ্রমজীবি লোকজনদের উপর বড় ধরনের প্রভাব পড়ে বলে শ্রমজীবি লোকজন জানান। তাদের ভাষ্যমতে রোহিঙ্গা লোকজন কম বেতনে যেখানে সেখানে শ্রমের কাজ করে বসে। ফলে আমরা যারা স্থানীয় শ্রমজীবি লোকজন রয়েছি আমরা কাজ না পেয়ে সংসার চালাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এমন কি বর্তমানে কক্সবাজার জেলায় প্রায় শ্রমবাজার অবৈধ রোহিঙ্গাদের দখলে। যেমন টেকনাফ স্থল বন্দর প্রায় ১ হাজার রোহিঙ্গা নিয়মিত কাজ করে।

যার কারণে রোহিঙ্গারা শ্রমবাজার হাতে নিয়ে বসে থাকেনি এর পাশাপাশি নানা রকমের অপরাধ মুলক যত কর্মকান্ড রয়েছে প্রায় তাদের নিয়ন্ত্রণে। এর মধ্যে রয়েছে মাদক ব্যবসা, চোরাচালান, অস্ত্র ব্যবসা, মানব ও অস্ত্র পাচার, শিশু পাচার, ঘুম, খুন সহ বিভিন্ন অপরাধ কর্মকান্ড।

সুত্রে জানায়, ইয়াবা সহ বিভিন্ন বড়বড় মাদকের ব্যবসা ক্যাম্প থেকে বাহির হয়ে নিয়ন্ত্রণ করে তাকে। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মাদকের চালান নিয়ে আটক হচ্ছে রোহিঙ্গা। স্থানীয় মাদক কারবারি মাদক নিয়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হলে,সে মহামান্য আদালত থেকে জামিন হতে অনেক সময় প্রয়োজন হয়। অথচ রোহিঙ্গা শরনার্থী আটক হলে দ্রুত সময়ে বের হয়ে যায়। স্থানীয় সুত্রে জানায়, টেকনাফ উপজেলার প্রতিটি ভাড়া বাসা, দোকান,মাছের ব্যবসা ইত্যাদি সর্ব স্তরে অবৈধ রোহিঙ্গাদের বিচরণ। অতি দ্যুত সময়ে এই রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া না হলে অদুর ভবিষৎ স্থানীয় লোকজনদের বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে বলে সচেতন মহল মনে করেন।

এ বিষয়ে টেকনাফ মডেল থানার ওসি মোঃ হাফিজুর রহমান জানান, আমরা আজও কয়েকজন রোহিঙ্গাকে আটক করেছি এবং কাল থেকে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করে রোহিঙ্গা বিরোধী অভিযান পরিচালক করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.