রিয়েল তন্ময় :
ঢাকা থিয়েটার মঞ্চের দর্শকনন্দিত মঞ্চনাটক ‘ঘর জামাই’-এর ৩৬২তম প্রর্দশনী আগামীকাল ২৭ জানুয়ারি, শুক্রবার সন্ধ্যা ৭.০০টায় মহিলা সমিতি মিলনায়তনে। ১৯৬৮ সালে মলিয়ের নাটকটি রচনা করেন। ঘর জামাই মূলত ফরাসী নাটক, যার নাম Georges Dandin Ou Le Coufondy- এর বাংলা অর্থ – বিভ্রান্ত স্বামী। ১৯৯৩ সালে ‘ঘর জামাই’ প্রথম প্রদর্শন করে ঢাকার থিয়েটার মঞ্চ। বাংলায় নাটকটির রুপান্তর ও নির্দেশনা দেন গোলাম সারোয়ার।
নাটকের গল্পে দেখা যায়-সোলায়মান আলী মন্ডল গ্রামের শিক্ষিত যুবক। মোহাম্মদ আলী একজন উঠতি বড় লোক। অর্থ প্রতিপত্তি ও নানা কৌশলে তিনি শহরে সমাজে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছেন। সমাজের উপর মহলে টেক্কা দিতে গিয়ে নিজেকে এবং নিজের একমাত্র মেয়ে রেহানাকেও বেসামাল করে তুলেছেন। সরল শিক্ষিত যুবককে নিজের একমাত্র মেয়ে রেহানার সাথে বিয়ে দিয়ে ঘর জামাই করেন এবং যৌতুক হিসেবে একটি বাড়ীও প্রদান করেন। রেহানা তার বাবার ঐতিহ্য এক ধরনের তথাকথিত হাই-ফাই পরিবেশে নিজেকে আধুনিকা হিসাবে গড়ে তোলেন। রেহানা তার বুদ্ধিমত্তা ও সারল্য দিয়ে জামাই সোলায়মানকে বার বার ধোকা দেয়। কারণ তিনি পরকীয়ায় আসক্ত হন। বেচারা জামাই সোলায়মান এ বিষয়ে কেবলমাত্র তার শশুর শাশুড়িকেই নালিশ করেন। কিন্তু শ্বশুর শাশুড়ি তা বিশ্বাস করে না, তারা প্রমাণ চান। স্ত্রীর চতুরতায় বেচারা সোলেমান বার বারই প্রমাণ দিতে ব্যর্থ হন। হাস্যরসাত্মক ঘটনার মধ্য দিয়ে ঘর জামাই হয়ে বৈবাহিক জীবনের করুণ স্বাদ গ্রহণ করে সোলেমান।
ঢাকা থিয়েটার মঞ্চ-এর প্রধান গাজী নূরুল হুদা বাবু বলেন, মলিয়েরের ঘর জামাই নাটক শুধু নিছক হাস্যরসাত্মক বা ভাঁড়ামো নয়, জীবনের সবুজ সুন্দর দিকটি তুলে ধরাই এর মূল লক্ষ্য, যা জীবনকে গতিশীল এবং বুদ্ধিকে শাণিত করে। তাছাড়া, নাটকটির ৩৬২তম প্রদর্শনী সহজ কথা নয়; এ পর্যন্ত আসতে আমাদের অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। দর্শকদের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতার শেষ নেই, তাদের ভালোবাসার কারণেই আমরা এতদূর আসতে পেরেছি। এ পর্যন্ত আসতে অনেক অভিনয়শিল্পীর যোজন-বিয়োজন হয়েছে কিন্তু দায়বদ্ধতার কারণে আমাদের পথচলা এখনো থেমে নেই। সুন্দর সমাজ প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এ চলা থামবে না, এমন প্রত্যাশা আমরা করতেই পারি।