সাংবাদিকরা বেঁচে থাকলে পত্রিকা চলবে,মরে গেলে নয় : বিএমএসএফ

অন্যান্য

মানসুরা আক্তার কাকলী :
ঢাকা ২৬ মার্চ ২০২০: পত্রিকা বন্ধ নয়! মহামারী করোনায় সাংবাদিকদের কথা চিন্তা করে অনলাইন ভার্সন চালু রেখে প্রিন্ট ভার্সন বন্ধ রাখার দাবি করা হয়েছে। তাতে দেশের হাজার হাজার সাংবাদিক ও অফিস এবং প্রেসের কর্মকর্তা-কর্মচারী জীবনের নিরাপত্তা পাবেন।

ইতিমধ্যে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় কিছু সচেতন ও মানবিক সম্পাদকরা তাদের পত্রিকার প্রিন্ট ভার্সন পত্রিকা বন্ধ করে অনলাইন চালু রেখেছেন। বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের পক্ষ থেকে তাদের প্রতি কৃতঞ্জতা জানানো হয়েছে এ কারনে যে তারা দেশের এই সংকটময় মহামারি মূহুর্তে তারা সাংবাদিকদের জীবনের কথা চিন্তা করে পত্রিকার প্রিন্ট ভার্সনটি বন্ধ করেছেন।

আমরা জানতে পেরেছি ঢাকার আংশিক পত্রিকাসহ সিলেট, রাজশাহি, চট্টগ্রামের আংশিক, খুলনা এবং বরিশালের কিছু পত্রিকা আজ থেকে বন্ধ রাখা হবে। এছাড়া কক্সবাজারের বেশকিছু পত্রিকা গতকাল বুধবার থেকেই বন্ধ রাখা হয়েছে।

বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি শহীদুল ইসলাম পাইলট ও সাধারণ সম্পাদক আহমেদ আবু জাফর বলেন, ইতিমধ্যে খুলনা হকার্স ইউনিয়নের নেতারা পত্রিকা গ্রহন না করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নিকট চিঠি পাঠিয়েছেন। করোনা ছড়াতে পারে এই ভয়ে অনেক গ্রাহক পত্রিকা রাখাও বন্ধ করে দিয়েছেন। যেখানে অফিস, আদালত,দোকানপাট,শিল্পকারখানা সব কিছুই বন্ধ। সেখানে কারা পত্রিকার গ্রাহক হবেন!

যেসকল পত্রিকা এখনও বন্ধ ঘোষণা করেননি দয়া করে নিজেদের স্বার্থের কথা বাদ দিয়ে সাংবাদিকদের জীবনের কথা বিবেচনা করে আজই আপনার পত্রিকাটির প্রিন্ট ভার্সন বন্ধের ঘোষণা করুন। একজন সাংবাদিক করোনায় আক্রান্ত হলেতো আপনি তখন ওই সাংবাদিককে চিনবেনই না। কখনও আপনি দেখেননি, এমনকি নামও শোনেননি। আমরা বাঁচতে চাই। সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী ঘরে থাকতে চাই, নিরাপদে বাঁচতে চাই।

ইতিমধ্যে করোনা ইস্যুতে বিভিন্ন জায়গায় পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকরা লাঞ্ছিতের খবরও পাওয়া গেছে। সাংবাদিকদেরতো কোন নির্ধারিত পোশাক নেই। পাবলিকের কাতারে তাদেরকে লাঞ্ছিত হত হচ্ছে।

অবিলম্বে আপনি সম্পাদক আপনার নিজ দায়িত্বে পত্রিকাটির প্রিন্ট ভার্সন আজই বন্ধ রাখুন। অনলাইন ভার্সনে নিয়মিত সংবাদ ও বিজ্ঞাপন প্রকাশ করবেন। সাংবাদিকেরা বেঁচে থাকলে পত্রিকা চলবে, মরে গেলে নয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published.


The reCAPTCHA verification period has expired. Please reload the page.