বরিশালে ইয়াবা গিলে খেয়েও শেষ রক্ষা পেলেন না ইউপি চেয়ারম্যান

অপরাধ

বিশেষ প্রতিবেদক :
বরিশাল বিমানবন্দরে ধরা পড়ার ভয়ে ইয়াবা গিলে খাওয়ার মামলায় ঝালকাঠি সদর উপজেলার কেওড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আবু সাঈদ খানকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। সোমবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেলে বরিশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক শামীম আহমেদ তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এয়ারপোর্ট থানার জেনারেল রেজিস্টার অফিসার (জিআরও) এসআই বৈচি বিশ্বাস বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ইয়াবা গিলে খাওয়ার অপরাধে দায়ের হওয়া মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ বিকেলে আবু সাঈদ খানকে আদালতে সোপর্দ করে। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কমলেশ চন্দ্র হালদার মামলার বরাত দিয়ে জানান, আকাশ পথে ঢাকা যাওয়ার জন্য রবিবার বিকেলে বরিশাল বিমানবন্দরে উপস্থিত হন আবু সাঈদ খান। ঢাকাগামী নভো এয়ারের ৩টা ৪০ মিনিটের ফ্লাইটে তার টিকেট কাটা ছিল। সাঈদ খান বিমানে ওঠার আগে তার সঙ্গে থাকা ব্যাগটি তল্লাশির জন্য স্ক্যানারে রাখেন। এসময় স্ক্যানারে তার ব্যাগের মধ্যে একটি গ্যাস লাইটের অস্তিত্ব ধরা পড়ে।

এসময় বিমানবন্দরে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা ব্যাগে গ্যাস লাইট বহন করা হচ্ছে কী-না সাঈদ খানের কাছে জানতে চান। তিনি গ্যাস লাইট থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেন। এ সময় নিরাপত্তাকর্মীরা ব্যাগ খুলে তল্লাশি করে দেখতে চান। এরপর সাঈদ খান নিজেই ব্যাগ খুলে হলিউড সিগারেটের একটি খালি প্যাকেট বের করেন। সেই প্যাকেটের মধ্যে একটি গ্যাস লাইট ও কার্বন কাগজে মোড়ানো ট্যাবলেটের মতো বস্তু ছিল। সাঈদ খান দ্রুত কার্বন কাগজে মোড়ানো বস্তুটি গিলে ফেলেন।

পরে নিরাপত্তা কর্মীরা তাকে আটক করে বিমানবন্দর ব্যবস্থাপক মো. আব্দুর রহিম তালুকদারকে খবর দেন। পরে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি কার্বন কাগজের মধ্যে একটি ইয়াবা ট্যাবলেট ছিল এবং ধরা পড়ার ভয়ে ইয়াবা গিলে খাওয়ার কথা বলে স্বীকার করেন।

ওসি আরও জানান, এ ঘটনায় তার বোর্ডিং বাতিল করা হয়। পাশাপাশি মাদক নিয়ে বিমানে ওঠার চেষ্টা এবং গিলে খাওয়ার অপরাধে রাতে বিমানবন্দর ব্যবস্থাপক মো. আব্দুর রহিম তালুকদার বাদী হয়ে মামলা করেন। বিকেলে সেই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে সাঈদ খানকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.


The reCAPTCHA verification period has expired. Please reload the page.