গাজীপুর কাশিমপুরে প্রভাবশালী চক্রের নের্তৃতে তিতাস গ্যাসের অবৈধ সংযোগ

অপরাধ

শাহাদাত হোসেন :
সরকারি সম্পদ গ্যাস আবাসিক ভাবে বাসা বাড়িতে সরবরাহ বন্ধ থাকলেও একটি প্রভাব শালী চক্র দীর্ঘদিন যাবৎ রাতের অন্ধকারে আবাসিক বাসা বাড়িতে তিতাস গ্যাসের সংযোগ দিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। সরকার হারাচ্ছে রাজত্ব বৈধ গ্রাহকরা পাচ্ছে না পর্যাপ্ত গ্যাস।
একটি বিশ্বাস্ত সুত্রে জানা যায় আশুলিয়ার নিকটতম কাশিমপুর ৫নং ওয়ার্ড শৈলডুবি এলাকায় রাস্তার পাশ দিয়ে অলিগলি মাটির উপর দিয়ে গ্যাস পাইপ দিয়ে প্রায়ই এক হাজার বাসা বাড়িতে তিতাস গ্যাসের অবৈধ সংযোগ দিয়েছে একটি চক্র।
পাইপ গুলো মরিচা পরে নষ্ট হয়ে গেছে যেকোন সময় ঘটতে পারে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা।
এমন সংবাদের পর উক্ত এলাকায় গেলে পাওয়া যায় তিতাস গ্যাস অবৈধ সংযোগে কারীদের সন্ধান।
এলাকা বাসী বলেন এই সংযোগ গুলো অনেক পুরানো প্রায় ১০ বছর ধরে চলছে, এই এলাকার কিছু প্রভাব শালী ব্যক্তিরা এই সংযোগের ব্যবস্থা করে দিয়েছে ।
আমরা তাদের মাধ্যমে প্রতি মাসে বিল পরিশোধ করে গ্যাস ব্যবহার করে আসছি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায় উক্ত এলাকার তিতাস গ্যাসের অবৈধ সংযোগ কারী কাসমে ও জলিল চৌধুরী গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা উঠিয়ে আলমগীর হোসেন ৫ নং ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি প্রার্থীর কাছে দিলে আলমগীর হোসেন তিতাস গ্যাস ঠিকাদার গোলাম মোস্তফা সহ প্রশাসন ম্যানেজ করেন। জলিল চৌধুরী, কাশেম , বাবুল মেম্বার, সহ একাধিক ব্যক্তি এই সংযোগ এর সাথে জরিত রয়েছেন বলে জানা যায় ।
বাড়িওয়ালারা বলছেন আমাদের এই লাইন বৈধ বলে আমরা জানি কারণ মাসে মাসে বিল পরিশোধ করে আসছি।
বিলের কাগজ চাইলে তারা কোন বিলের কাগজ পত্র দেখাতে পারে নি। কিন্তু বলেছেন আমরা বিল পরিশোধ করি কাগজের প্রয়োজন হয় না। কারণ গ্যাস সংযোগ নেওয়ার পর থেকে এখনো পর্যোন্ত কোন দিন কেউ আসেনি বা এই লাইন বিচ্ছিন্ন করেনি।
উক্ত বিষয়ে জানতে বাবুল মেম্বারের সাথে কথা বললে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেন, আলমগীর এর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তার ফোন নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়, পরবর্তীতে আলমগীর হোসেন তার নিজ ৯০৯৪০৩ নাম্বারে সংবাদকর্মীদের হুমকি শরুফ কথা বলেন এবং সিনিয়র কিছু সংবাদ কর্মীদের নাম বিক্রয় করে উক্ত বিষয়ে এরিয়ে জান।
এবিষয়ে জলিল চৌধুরীর সাথে কথা বললে তিনি বিষয়টি স্বীকার করে বলেন আমার ভাই আগে টাকা উঠাতো তিনি মারা যাওয়ার পড়ে বর্তমানে আমি ও কাসেম টাকা গুলো উঠাই, এখানে বাবুল মেম্বার, আলমগীর, সহ অনেকেই জরিত রয়েছেন ।
এবিষয়ে জানতে চাইলে তিতাস গ্যাস ঠিকাদার মোস্তফা কামাল উপরোক্ত বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন এরা বাঁচার জন্য আমাদের নাম বিক্রি করে, এছাড়া এই এলাকায় অবৈধ ভাবে নেওয়া গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্য ম্যানেজার স্যার কে বলা হয়েছে। রমজান মাস এজন্য একটু সমস্যা হচ্ছে তবে আগামী রবিবার সঠিক খবর টা আপনাদের জানাতে পারবো। উক্ত বিষয়ে তিতাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিষ্ট্রিবিউশন কোম্পানির সাভার জনের ম্যানেজারের মোবাইল ফোনে একাধিক বার যোগাযোগের চেষ্টা করলে তা সম্ভব হয়নি।
উক্ত বিষয়ে তিতাস গ্যাস ট্রন্সমিশন এন্ড ডিষ্ট্রিবিউশন কোম্পানির উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সু- দৃষ্টি কামনা করছেন সচেতন মহল।

Leave a Reply

Your email address will not be published.


The reCAPTCHA verification period has expired. Please reload the page.