বিশেষ প্রতিনিধি :
ঢাকা উত্তরা থেকে জামালপুরের সরিষাবাড়ী শিখা আক্তার মৌ বরগুনার চান্দখালী এসে তার প্রেমিক মাহমুদুল হাসান এর খোঁজে দীর্ঘ ১৬ দিন বাসার অবস্থান করার পর মাহমুদুল হাসান এর বাবা মোঃ মোশাররফ হোসেনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে এখন কারাগারে অবস্থান করছেন। শিখা আক্তার মৌ এর বাবা-মা বরগুনাতে এসে কোন সমাধান করতে না পেরে চলে গিয়েছে জামালপুরের সরিষাবাড়ী।
এদিকে জামালপুর সরিষাবাড়ীর সাবেক উপমন্ত্রী জনাব ডাঃ মুরাদ সাহেব দীর্ঘদিন বাসায় বিশ্রামে থাকা অবস্থায় থাকার পর উপরে ঘুড়তে থাকা ছয় সিলিং ফ্যানের মধ্যে থাকা মাথার উপরের সিলিং ফরমান খুলে তার মাথার উপর পরে রায়। সাবেক আলোচিত সমালোচিত মহোদয়ের আহত হওয়ার ঘটনা সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়েছে।বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন।
অন্যদিকে মোসাঃ শেফালী খাতুন নামের নামের একটি মেয়ে জামালপুরের সরিষাবাড়ী থেকে এসে বরগুনার আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়নের পূর্ব কেওড়াবুনিয়ার পনু খানের ছেলে আরিফুর রহমান বাচ্চুকে স্বামী হিসেবে খুঁজতে গিয়ে সংসার ভাঙ্গার পায়তারা করেছেন আরিফুর রহমানের বর্তমান স্ত্রী এক সন্তানের জননী মোসাঃ রোজি বেগমের।
দীর্ঘ ১৪ বছর আগে আমতলীর লঞ্চ ঘাটের পাশ্বে মোঃ মতিউর রহমানের দ্বিতীয় মেয়ে মোসঃ রোজি বেগমকে বিবাহ করেন বরগুনা আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়নের পনু খানের ছেলে মোঃ আরিফুর রহমান বাচ্চু খান দীর্ঘ বছর চাকরীর সুবাদে রোজীকে নিয়ে ঢাকা থাকাকালীন অবস্থায় আরিফুর রহমান বাচ্চু একই প্রতিষ্ঠানে চাকরী করতো শেফালী বেগম। এক পর্যায় পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পরেন বাচ্চু ও শেফালী। শেফালী খাতুন আরিফকে পরকীয়ায় জড়িয়ে ১ বছর পর্যন্ত নিজেদের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখেন। মাঝে মধ্যে আরিফ নিজের বাসায় না এসে শেফালীর কাছে থাকতে শুরু করেন।বিবাহ বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় এই ঘটনা প্রথম স্ত্রী মোসাম্মৎ রোজি বেগম না জানলেও রোজি বেগম কে বাসায় রেখে আরিফুর রহমান দ্বিতীয় স্ত্রী শেফালী খাতুন এর বাসায় নিয়মিত যাতায়াত করতে থাকে এক পর্যায়ে বুঝতে পেরে আরিফুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদের পরে সে জানায় একই অফিসের শেফালী খাতুন কে জামালপুরের সরিষাবাড়ী মেয়ে শেফালীকে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করেছে। এতে উভয়ের মধ্যে ঝগড়াঝাঁটি একপর্যায়ে আরিফুর রহমান বাচ্চু প্রথম স্ত্রীকে বরগুনার কেওড়াবুনিয়া নিজের বাড়িতে নিয়ে আসেন বেশ কিছুদিন এভাবে থাকার পরে গত ১১,০৫,২২ ইংরেজি তারিখ শেফালী খাতুন বরগুনার পূর্ব কেওড়াবুনিয়া গ্রামের এসে রোজীকে সংসার ভেঙ্গে চলে যাওয়ার জন্য হুমকি দেন। শেফালী খাতুন আরিফুর রহমানকে ভাগিয়ে ইটবাড়িয়া তার বোনের বাসায় অবস্থান করেন। প্রথম স্ত্রী রোজী স্বামীকে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে স্বামীকে না পেয়ে আরিফুর রহমানের বাড়িতে গেলে আরিফের বাবা রোজী কে বাড়ী থেকে চলে যাওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন । রাতের নিজের স্বামীর বাড়িতে অবস্থান নেওয়ার একপর্যায়ে আরিফুর রহমানের বাবা মোঃ পনু খান বলেন তুমি আমার বাড়ি থেকে চলে যাও আমার ছেলে আরিফ জামালপুরের সরিষাবাড়ী শেফালী খাতুন কে নিয়ে ঘর সংসার করবে। বর্তমানে রোজি বেগম তার স্বামীর ঘরে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন তার স্বামীর জামালপুরের শেফালী খাতুন আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে আত্মগোপন করে আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের কাছে রোজি বেগম বাবা মোহাম্মদ মতিউর রহমান অভিযোগ করলে চেয়ারম্যান বলেন কয়েকটা দিন অপেক্ষা করেন আমি এ ব্যাপারে সমাধান দিব।
বরগুনা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আলী আহমেদ বলেন এ ধরনের ঘটনার অভিযোগ আসলে বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে আইনের আওতায় আনা হবে।