রবিউল আলম,গাজীপুর থেকে :
ভাওয়াল বীর শহীদ আহসান উল্লাহ স্যারের আদর্শের সৈনিকরা কখনো অন্যায়ের সাথে আপোষ করেনা বলে জানিয়েছেন হাজারো যুবকের পথ প্রদর্শক দেশব্যপী যুব বন্ধু খ্যত টঙ্গীর সোহেল রানা।
প্রসঙ্গত, বঙ্গবন্ধু জাতীয় যুব দিবসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আত্মকর্মসংস্থানে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপনের স্বীকৃতিস্বরূপ ২২ জন আত্মকর্মী এবং স্বেচ্ছাসেবায় অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপনের জন্য ৫ জন যুব সংগঠক অর্থাৎ মোট ২৭ জন সফল যুবককে জাতীয় যুব পুরস্কার-২০২১ দেয়া হয়, যার মধ্যে আত্মকর্মী হিসেবে(সারাদেশ)পুরুষ ক্যাটাগরিতে দ্বিতীয় পুরস্কার পাওয়ার পর দেশব্যাপী সফল সংগঠক হিসেবে যুব বন্ধু পরিচিতি লাভ করে টঙ্গীর সোহেল রানা ।
ছোটবেলা থেকেই সোহেল রানা খেলাধুলা ও বিভিন্ন সামাজিক কাজে ব্যস্ত থাকতেন। সোহেল রানা ছাত্রজীবন শুরু করেন নোয়াগাঁও এম এ মজিদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে। সেখান থেকে সোহেল রানা এসএসসি পাস করে পুবাইল আদর্শ ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। এরপর টঙ্গী সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে ডিগ্রি ও ব্যবস্থাপনার ওপর মাস্টার্স শেষে গাজীপুর ল কলেজ থেকে এলএলবি করেন। সোহেল রানা শুধু গাজীপুরবাসীর গর্ব নয়, তিনি বাংলাদেশের যুবকদের ভাগ্য উন্নয়নে অনন্য দিক-নির্দেশক ও একজন সফল সংগঠক। ভাওয়াল বীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার এমপির মৃত্যুর পর তার স্ত্রীর দিকনির্দেশনায় জাহিদ আহসান রাসেলের সাথে তার নির্বাচনে একজন কর্মী হিসেবে রাজনীতিতে যাত্রা শুরু করেন সোহেল রানা। জাহিদ আহসান রাসেল জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর ২০০৪ সালে শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদে সাবেক ১০নং ওয়ার্ডের (বর্তমান ৪৬নং ওয়ার্ড) সভাপতির দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে প্রথম রাজনৈতিক সংগঠনে যোগদান করেন সোহেল রানা।
স্থানীয় এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার ছিলেন সোহেল রানার শিক্ষক। সোহেল তাকে খুব কাছ থেকে দেখেছে। তৎকালীন সময়ে ক্ষমতালোভী বিএনপি-জামায়াতের এজেন্টরা হঠাৎ করে অতর্কিত হামলা চালিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে আহসান উল্লাহ মাষ্টারকে। আহসান উল্লাহ স্যারের মৃত্যুর সময় সোহেল রানা প্রত্যাক্ষদর্শী হিসেবে সারাদেশে মিডিয়াতে বক্তব্য ছিয়েছে। সোহেল ২০১৫ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের টঙ্গী থানা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত ছাত্রলীগের সাথে সম্পৃক্ত। তবে যেহেতু বাংলাদেশ ছাত্রলীগে বিবাহিতদের কোনো অগ্রাধিকার নেই, তাই বিয়ের পর থেকে সোহেল রানা যুবলীগের সাথে সম্পৃক্ত আছে। এলাকার স্থানীয় লোকজনের চাওয়ায় সোহেল নিজ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচনের ইচ্ছা পোষন করে। যেন আমাদের ওয়ার্ডের সাধারণ মানুষের জন্য কিছু করে যেতে পারেন। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পড়িহাস, সোহেলের এই স্বপ্নই আজ তার কাল হয়েছে। কিছু অসাধু ব্যক্তি নিজেদের স্বার্থ হাছিলের জন্য যড়যন্ত্রমুলক ভাবে সোহেল’কে নিয়ে বিভিন্ন ভাবে মিথ্যা অপপ্রচার করছে। যার কোন ভিত্তি বা প্রমাণ কেউ কখনো দেখাতে পারবেনা। সোহেল তার দক্ষতা দিয়ে সাধারণ মানুষের ভালোবাসা অর্জন করেছে আর মানুষের বিপদে বন্ধু হয়ে পাশে দাঁড়ায়। যা অনেকের কাছে শুভময় নয়।কিছু অসাধু ব্যক্তি পরিকল্পিত ভাবে সোহেল’কে সমাজে হেও প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করছে বলে আমরা মনে করি।
সার্বিক বিষয় নিয়ে সোহেল রানার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভাওয়াল বীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাষ্টারের আদর্শ বুকে ধারণ করে আমার প্রিয় নেতা যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব জাহিদ আহসান রাসেল ভাই ও গাজীপুর মহানগর যুবলীগের আহবায়ক আলহাজ্ব কামরুল আহসান সরকার রাসেল ভাইয়ের খুদ্র কর্মী হিসেবে কাজ করে যেতে চাই। ভালো কাজ অনেক অসাধু ব্যক্তিদের কাছে ভালো লাগে না। যুগে যুগে তারা বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্র করেছে আর ভবিষ্যতেও করবে।আমি এটাই বলবো আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার না করে, প্রমাণ থাকলে আমার প্রিয় নেতাদের কাছে দিন তারা আমার বিচার করবে।শুধু মনে রাখবেন যারা শহীদ আহসান উল্লাহ মাষ্টারের আদর্শ লালন করে তাদের কেউ ক্ষতি করতে পারেনি আর আগামী দিনেও পারবে না।