চট্রগ্রামে চেক জালিয়াতি প্রতারণা মামলায় আক্কাস উদ্দিন চৌধুরী মিন্টু’র এক বছরের সাজা

অপরাধ

মোহাম্মদ জুবাইর :
অবশেষে চেক জালিয়াতি মামলায় এক বছরের সাজা হলো
দক্ষিণ চটগ্রামের রহস্যপুরুষ খ্যাত আক্কাস উদ্দিন চৌধুরী মিন্টুর।আক্কাস উদ্দিন চৌধুরী মিন্টু
পিতা ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী ( সওদাগর) মাতা, নুর তাজ বেগম, এটি এক রহস্যপুরুষের নাম, কখনো মন্ত্রীর পিএস,কখনো দুদক কর্মচারী,কখনোবা সিনিয়র ব্যাংক কর্মকর্তা। যার জালে পড়ে সর্বশ্রান্ত হয়ে পথের ভিখেরী শত শত মানুষ, বিভিন্ন জেলা থেকে তাকে হন্য হয়ে খুজছে অনেকেই।
কাউকে ম্যাগনেট ব্যবসার প্রলোভন, কাউ কে ব্যাংকের চেক পে অর্ডার জালিয়াতি, কাউ কে আবার জাল দলিল বানিয়ে দেওয়া, চাকুরীর তৎবির ইত্যাদি, এমন কোন কাজ নাই যে সে করেনা, শত অপরাধের অপরাধী আক্কাস। তার বাড়ি চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া থানার অন্তর্গত কচুয়াই ইউনিয়নের আজিমপুর ৫নং ওয়ার্ডের “আলী আকবর চৌধুরীর বাড়ি( বর্তমানে নোবেল মেম্বারের বাড়ি, সে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ছদ্মনাম ব্যবহার করে থাকেন, তার হাত থেকে রক্ষা পায়নি পুলিশ, সাংবাদিক, ডাক্তার পর্যন্ত।এমনকি সে তার আপন চাচাকেও সর্বশ্রান্ত করেতে পিছ পা হননি,তার বিরুদ্ধে রয়েছে একাদিক মামলা, বিভিন্ন জেলায় সে একের অধিক বিয়ে করেছেন, তাদেরকে দিয়ে সে বিভিন্ন অপকর্ম করিয়ে চলেছে, সে তার নিজ এলাকায়ও দুজন প্রবাসির কাছ থেকে পে অর্ডার জালিয়াতি করে প্রায় ২৭ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে,অন্যজনের ভিসা স্কেনিং করে টাকা হাতিয়ে নেওয়া, কোটিপতির একমাত্র মেয়ে বিয়ে করিয়ে দেওয়ার কথা বলে টাকা হাতিয়ে নেওয়া, প্রতিরাতে মাদকের আড্ডা বসানো, বয়স্ক নারীদের ব্যবহার করে বিভিন্ন মামলার বাদী করে শিল্পপতিদের ব্ল্যাকমেইল করা সহ নানা অপকর্মে জড়িত এই রহস্য পুরুষ, তার রক্ষিতা সংখ্যাও নেহাৎ কম নেই তাদের কে দিয়ে গোপন ভিডিও ধারণ করে বিভিন্ন স্তরের মানুষেদের ফাঁসানো তার আর একটি চরম বদ অভ্যাস,তার নিজ গ্রাম আজিমপুরে আছে তার একটি ৮/১০ জনের সিন্ডিকেট সেখানে নেশাগ্রস্ত যুবকের সংখ্যা বেশি, তারমধ্যে দুজন ডুবাই প্রবাসী আছে, তারা ডুবাই তে বসে ফ্রোজেন মাংসের ভেতর করে ইয়াবা চালান পার করায়, দেশ থেকে নতুন পুরোনো প্রবাসিদের দিয়ে এ চালান গুলো নিপুনভাবে পার করানোই মিন্টুর কাজ। তার রয়েছে তার নিজ গ্রামের দুজন ড্রাইভার তার মধ্যে একজন হাইস, বিমান শো ব্যবহার করে অন্যজন পাশের বাড়ির সিএনজি ড্রাইভার।
এছাড়াও কক্সবাজার থেকে ইয়াবা চালান আনা নেওয়া করার কাজটা কেরিয় তার দক্ষিণ বাড়ির নিকট আত্মীয় একজন, সে দীর্ঘদিন যাবৎ কক্সবাজারে থাকাতে মাদকের কাজে পূর্ব অভিজ্ঞ, তার রয়েছে কয়েকজন বয়স্ক নারী পুরুষ ও তাদের কে বিভিন্ন জায়গায় সাধু পীর, পীরের সন্তান, ধর্ম গুরু কিংবা ক্যামিস্ট হিসাবে ব্যবহার করে থাকেন, তার ঘরে প্রায়সময় বসে নেশার ঝলসা, সেখানে চলে জুয়া এবং মোবাইলে বেষ্ট ৩৬৫ জুয়া,,
অতীতে এ রহস্যপুরুষ বিভিন্ন সময় দেশের বিভিন্ন থানা তে গ্রেফতার হয়। সম্প্রতি যার মামলা নং ১৬৬৬/২০২০ মূলে দশ লক্ষ বিরানব্বই হাজার টাকার একটি চেক জালিয়াতি মামলায় তার এক বছরের সাজা দেয় মহানগর যুগ্ম জজ আদালতের বিচারক আফরোজা জেসমিন কলি।

Leave a Reply

Your email address will not be published.


The reCAPTCHA verification period has expired. Please reload the page.