এম শাহীন আলম :
শিল্পাঞ্চল ঢাকা আশুলিয়া ডিইপিজেড এলাকার আতংক চিহৃিত চাঁদাবাজ এবং বিভিন্ন অপকর্মের হোতা নুরুনাহার? যাকে মানুষ এক নামেই চেনে জানে ফুটপাথের চাঁদা কালেকশন সর্দারনী নামে । সরেজমিনে জানা যায়,আশুলিয়া থানার কিছু অসাদু পুলিশ সদস্যের ছএ-ছায়ায় মাদক কারবার থেকে শুরু করে এক দল রাত জাগা পাখি (মক্ষিরানী ) দের নিয়ে অসামাজিক কর্মকান্ড ও চাঁদাবাজি এবং কিশোর গ্যাং পরিচালনা সহ এমন কোন অপরাধ জনিত কাজ নেই যা সে করে না। এছাড়া এই নুরুনাহার স্হানীয় কিছু রাজনৈতিক নেতার সেল্টারে প্রকাশ্যে ও গোপনে চালিয়ে যাচ্ছে এই সকল বিভিন্ন অপরাধমূলক অনৈতিক ও অসামাজিক কর্মকান্ড ।এ যেন দেখার কেউ নেই । এছাড়া এই ভয়ংকর নারীর খুটির জোড়-ই বা কোথায় ।আড়াল থেকে কে বা কাহারা তাকে এই শক্তি যোগাচ্ছে ?কোন স্বার্থ লুকিয়ে আছে তাদেরও জানতে চায় সমাজের সর্বস্তরের মানুষ ।
জানা যায়, এই নুরুনাহার আশুলিয়া থানার সন্নিনিকটেই গণক বাড়ী ডি.ইপিজেড পুরাতন জোন এর ফুট ওভারব্রীজ এর নিচে পূর্ব পাশে সিড়ির গোড়ায় ৭/৮ জন যুবতী নারী ও হিজলাদের নিয়ে পতিতাবৃত্তি খুলে বসেছে ।সেখানে বসেই চলছে মরণ নেশা মাদক ব্যবসা ও চুরি-ছিনতাই সহ ফিটিং বানিজ্য ।নিত্যদিন রাত ১০টা হতে শুরু করে সারা রাত ব্যাপি চলে এই অপকর্ম গুলো।
এই বিষয়ে সরেজমিনে অনুসন্ধানে জানা যায়,নদী ও কেয়া নামে দুই রাত জাগা মক্ষিরানী জানায়, তাদের নুরুনাহার নাকি বলছে প্রশাসনকে সে ম্যানেজ করে প্রশাসনের সমস্যা সে দেখবে । মহিলা এবং হিজরাদের প্রতিতা বৃওির জন্য প্রতিমাসের ৩০ তারিখে নুরুনাহারকে পুলিশ ম্যানেজ করতে দিতে হয় জনপ্রতি ১৫ হাজার টাকা ।তাছাড়া, তাকে ঐ টাকা দেওয়ার কারণে কোন প্রকার আইনি জটিলতাতেও পরতে হয় না তাদের ।ইতিমধ্যে ভাদাইল গ্রামের চলাচল রোডটি সংস্কার কাজ শুরু হওয়ায় রোডের একাংশ দখল করে বিকাল ৩টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত বসে বিভিন্ন ছোট ছোট ভাসমান দোকান পাট ।ঐ সব দোকানদারকে প্রতি সন্ধ্যায় নুরুনাহারকে দিতে হয় ৫০/৭০টাকা হারে চাঁদা ।শ্রমিকদের চলাচলের সুবিধার্থে ডি.ইপিজেড এর পূর্ব পাশে দেওয়াল কেটে একটি পকেট গেইট খোলা হয়েছে ।ঐ গেইট এর সামনেও নিত্যদিন বসে কাঁচাবাজার সহ প্রায় অর্ধশত বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় ভাসমান দোকান ।সেখানেও নুরুনাহারের একই চিত্র ।নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এলাকার সম্মানিত সমাজসেবক কতিপয় অনেক লোক দৈনিক বাংলা খবর কে জানায়,নুরুনাহারের বিভিন্ন অসামাজিক কর্মকান্ডে ছাত্র সমাজ সহ সব বয়সের মানুষ দিন দিন ধ্বংসের পথে যাচ্ছে । তার নিয়ন্ত্রনে রয়েছে এক দল কিশোর গ্যাংও । এই নারীকে দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে থামাতে না পারলে স্হানীয় ভাবে কিশোর গ্যাং,মাদক সন্ত্রাস,পতিতাবৃওি দিন দিন বেড়ে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করা অসম্ভব হয়ে পরবে বলে মনে করেন তারা, ডিইপিজেড এলাকায় কারা কারা চাঁদাবাজীতে জড়িত চাঁদাবাজদের খুঁটির জোর কোথায় তা নিয়ে ব্যাপক অনুসন্ধান চলছে পরবর্তী অনুসন্ধানে ধারাবাহিক ভাবে বিস্তারিত পরের সংখ্যায় প্রকাশ করা হবে,