বাড়ী বেদখল করে বৃদ্ধাকে ঘর থেকে বের করে দিয়ে ঘরে তালা মিনহাজ নামের এক ভূমিদস্যু

অপরাধ

সরিষাবাড়ী (জামালপুর)থেকে :
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে এক বৃদ্ধার জমি বেদখলদিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে কাশেম আলীর ছেলে ভূমিদসু মিনহাজ।
এ ঘটনায় বৃদ্ধাকে ঘর থেকে বেরকরে দিয়ে ঘরে তালা লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মিনহাজের বিরোদ্ধে।
উপজেলার পিংনা ইউনিয়নের মেইয়া গ্রামে এঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে ভুক্তভুগি পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, মৃত নহের আলীর স্বামী পরিত্যক্ত কন্যা মোছাঃ বেইলা বেওয়া, ছেলে আকবর আলী ও স্ত্রী জরিনা বেওয়ার নামে দীর্ঘ ২৮ বছর আগে মেইয়া মৌজার অন্তর্গত বিআরএস ৩৫৯ নং খতিয়ানের রেকডিও মালিক মোঃ ছামান আলীর নিকট হতে ১৫ শতাংশ জমি ক্রয় করে বাড়িঘর নির্মান করে বসবাস করে আসছেন।
সম্প্রতি সেই জমি থেকে দুইজনের পরিবারকে উচ্ছেদ করলেও মানুষিক প্রতিবন্ধী ছেলেকে নিয়ে সেখানেই নিজ ঘরে বসবাস করছেন অসহায় বৃদ্ধা বেইলা বেগম।
প্রায় দেড়বছর আগে থেকে ভিটেছাড়া করতে এ পরিবারটির উপর শুরু করেছে অমানুষিক অত্যাচার।
অত্যাচারিত হয়ে পিংনা ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতে ২২/২০২২ নং মামলা দায়ের করেন।
মামলায় বিচার বিশ্লেষণ করে বাদীর ১৩.৩৪ শতাংশের মালিকানা রয়েছে উল্লেখ করে ১৫ নবেম্বর ২০২২ সালে রায়দেয় ইউপি চেয়ারম্যান।
কিন্তু সেই রায়কে অমান্য করে তাদের উপর দ্বিগুন অত্যাচার শুরু করে।
পরে বাধ্য হয়ে বৃদ্ধা জামালপুরের কোর্টে মামলা দায়ের করেন।
গত কাল ১৯ নবেম্বর ২০২৩ ইং মামলার ধার্য তারিখ ছিলো।
ধার্য তারিখে আদালত থেকে ফিরে এসেই ক্ষিপ্ত হয়ে ঘর থেকে বের করে দিয়ে মানুষিক প্রতিবন্ধি ছেলেকে ঘরে ভিতরে রেখেই তালা লাগিয়ে দেয় মিনহাজ।
এ বিষয়ে বৃদ্ধা বেইলা জানান, কালকে আদালত থেকে এসেই আমার ঘরে তালাদেয় মিনহাজ। আমি সারারাত শীতে কোয়াশার মধ্যে ঘরের বাইরে রাত জেগে বসে থেকে গভীর রাতে শীত সইতে না পেরে পার্শবর্তী শাহজামালের ঘরে গিয়ে বাকি রাত টুকু কাটাই।
আমার পাগল ছেলে এখনো সেই ঘরের ভিতরেই আছে এলাকার কোন মাতাব্বররা আমার সহযোগিতা করতেছে না।

এ বিষয়ে অভিযোক্ত মিনহাজ ঘটনার Stands স্বীকার করে বলেন, আমার বাড়ী আমার জায়গা আমি তাকে থাকার জায়গা দিসি এখন তারে ঘর ভাইংগা অন্য জায়গায় ঘর উঠাইতে কইছে সে সরবে না তাই আমি ঘরে তালা দিসি।
এ বিষয়ে সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) মুশফিকুর রহমান বলেন, এ রকম কোন অভিযোগ আমি পাইনি অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.


The reCAPTCHA verification period has expired. Please reload the page.