মতিন খন্দকার টিটু :
বগুড়া সদরের নামুজায় ইউপি সদস্য কর্তৃক জাল টিপসহি দিয়ে ১০ টাকা কেজির রেশন কার্ডে চাল উত্তোলন করে আত্মসাত করার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ ও স্থানীয় একাধিক বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, দেশব্যাপী সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচী আওয়াধীন বিগত ২০১৬ অর্থবছরে প্রদত্ত নিম্নবিত্ত মানুষের মাঝে ১০ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি চাল দেওয়ার জন্য রেশন কার্ড তৈরির তালিকা প্রণয়ন করার সময় নামুজা ইউপির ৪নং ওয়ার্ড সদস্য ফারুক হোসেন তার ওয়ার্ডে নিম্নবিত্ত রেশন কার্ড সুবিধাভোগীদের ছবি ও ভোটার আইডি কার্ডের ফটো সংগ্রহ করেন। রেশন কার্ড তৈরি হওয়ার পর ইউপি সদস্য কার্ডগুলি নিজের কাছে রেখেছেন। অতঃপর সম্পপ্রতি সরকারের কঠোর আইনী ব্যবস্থার চাপে নিজের সংরক্ষণ রেশন কার্ডগুলি বিতরণের পর সুবিধাভোগীরা বুঝতে পারে তাদের নামীয় কার্ডে জাল টিপসহি দিয়ে কয়েক দফায় চাল উত্তোলন করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার (১২ মে) সরেজমিনে গিয়ে ভুক্তভোগী শ্রী শুকুমার, পিতা শ্রী বৃঞ্চ।
মোঃ জাহাঙ্গীর শেখ, পিতা মোঃ চেরু শেখ। আয়নুল ইসলাম, পিতা মোঃ সিরাজ ফকির। আবু বক্কর ভোলা, পিতা মোঃ আবুল ফকির। মোঃ মির হোসেন, পিতা মোঃ লবির উদ্দিন ফকির। আজিজুল ইসলাম, পিতা মোঃ মোফজলার রহমান। মেহের আলী, পিতা মৃত মিছির শেখ, মনিরার, কুলছুমা। অভিযোগ করে জানাই ,রেশন কার্ড তৈরির নামে কাগজপত্র জমা নিয়েছিল। কয়েকমাস পর আমারা কার্ডটি হাতে পেয়ে দেখি পূর্বে এই কার্ডে জাল টিপসহি দিয়ে কয়েবার চাল উত্তোলন করা হয়েছে, যে ব্যাপারে আমারা অবগত নই।
মঙ্গলবার দুপুরে নামুজা ইউপির ৪নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য ফারুক হোসেনের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ হয়েছে তার তদন্ত চলছে। এ ব্যাপারে নামুজা ইউপি চেয়ারম্যান এস.এম রাসেল মামুন জানান, ইউপি সদস্য ফারুক হোসেন এর বিরুদ্ধে রেশন কার্ড বিতরণে অনিয়ম অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে প্রায়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগীরা প্রশাসনের কাছে সুষ্ট ভাবে তদন্ত করিয়া সত্যতা প্রমান করে ফারুক হোসেনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।