নিজস্ব প্রতিবেদক :
করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধের প্রথম কয়েক দিন মানুষের চলাচলে নিয়ন্ত্রণ থাকলেও এখন সেটা অনেকটাই নেই। মোড়ে মোড়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চেকপোস্ট থাকলেও নানা অজুহাত দেখিয়ে মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছেন। গ্ররাম-শহরে পাড়া-মহল্লায় মানুষ ভিড় করছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) চলমান বিধিনিষেধের অষ্টম দিন রাজধানীর কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা। তবুও সড়কে কমতি নেই যানবাহনের আর নগরবাসীর চলাচল।
একই রিকশায় বের হয়ে পর্যাপ্ত কারণ না দেখাতে পারায় রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে পুলিশের চেকপোস্টে আটক হন সরকারি কর্মকর্তা হামিদুল ইসলাম ও তিথি রায়। আটক হওয়ার পর হামিদুর রহমান বলেন, ‘আমরা বনানী থেকে বারডেম হাসপাতালে এসেছি চিকিৎসা নেওয়ার জন্য। সঙ্গে থাকা নারীকে কাজিন পরিচয় দিয়েছি। দুইজনের নামের গড়মিল হওয়ায় এবং বের হওয়ার কোনো কাগজ না থাকায় আমাদেরকে আটক করেছে। একই জায়গায় অনুষ্ঠানের জন্য ফুল কিনে যাওয়ার সময় চেকপোস্টে আটক হোন আরও দুইজন।
রাজধানীর হাতিরপুলের মোতালেব প্লাজার সামনে গিয়ে দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। জটলা বেধে দাঁড়িয়ে আছেন মানুষ। কিছুক্ষণ পর পুলিশ আসলে তারা দ্রুত স্থান ত্যাগ করছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মোতালেব প্লাজায় কাজ করেন এমন একজন বলেন, ‘আমার ঘরে খাবার নেই, আমার বাচ্চার দুধ নেই, বাধ্য হয়ে মার্কেটে পাশে দাঁড়িয়ে আছি। কেউ যদি মোবাইল সার্ভিসিং করতে আসলে আমরা সার্ভিসিং করে দিচ্ছি।’
সড়কে যানবাহন বৃদ্ধি ও নগরবাসীর চলাচল প্রসঙ্গে পুলিশের রমনা জোনের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশীদ দৈনিক ইত্তেফাক অনলাইনকে বলেন, মানুষের চলাচল, যানবাহনের সংখ্যা কিছুটা বাড়লেও আমাদের চারদিকে চেকপোস্ট রয়েছে। অকারণে কারও বের হয়ে পার পাওয়ার সুযোগ নেই। আমরা কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে সরকারি নির্দেশ মোতাবেক কাজ করে যাচ্ছি। বৈধ কোনো কাগজ কিংবা পর্যাপ্ত কারণ ছাড়া বের হলেই আটক করছি। নিয়ম অমান্য করলে কোনো ছাড় নেই।
কাঁটাবনে চেকপোস্টে দায়িত্বরত অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মিজানুর রহমান বলেন, সকাল থেকেই আমরা সড়কে রয়েছি। আমরা ইতিমধ্যে অনেক গাড়িকে জরিমানা করেছি। মোটরসাইকেলে দুইজন উঠলেই তাদের জরিমানা করছি বা একজনকে নামিয়ে দিচ্ছে। এ ছাড়া যেসব গাড়ি জরুরি কারণ ছাড়া ব্যক্তিগত কাজে বের হয়েছেন তাদেরকে আমরা জরিমানা বা মামলার আওতায় নিয়ে আসছি।