বিশেষ প্রতিবেদক :
জয়পুরহাট কালাইয়ে বোড়াই গ্রামে সুমি আক্তার নামে এক তরুণীকে বিয়ের আদলে দেনমোহর আদায়ের ফাঁদ পেতেছে। শুধু তা-ই নয় এসব অপকর্মে লিপ্ত খোদ এলাকাবাসি৷
অনুসন্ধানে জানা যায়, গত ২০১৬ সালের শেষের দিকে ক্ষেতলাল মিনিগাড়ী গ্রামের আঃ রাজ্জাকের সাথে বিয়ে হয় পার্শবতি কালাইয়ে উপজেলা বোড়াই গ্রামের শফিকুলের মেয় সুমি আক্তার । কিন্তু বিয়ের বছর পার হতে না হতেই রাজ্জাকের অর্থের প্রতি সুমির মামা আলী আনসার ও মায়ের অতি লোভের প্রলোভনে মেয়েকে দিয়া শুরু করায় রাজ্জাকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিথ্যাচার। মিথ্যে অভিযোগ করেন আমি বিচার চেয়ে স্থানীয় সালিশকার থেকে শুরু করে মেম্বার, চেয়ারম্যান ও উপজেলা চেয়ারম্যান কার্যালয়ও বাদ রাখেনি সুমির পরিবার। কাছে
স্থানীয় সালিশকার ও জনপ্রতিনিধিরা চেয়ারম্যন আলী আকবর এনামুল হক বাবু বলেন আমরা চেষ্টা করেছি উভয়পক্ষকে সমঝোতার মাধ্যমে ফের সাংসারিক করে তুলতে কিন্তু সুমির পরিবার দেনমোহর দাবি ছাড়া কিছুই মানছেনা। এখন যেহেতু এটি মামলা পর্যন্ত গড়িয়েছে সেহেতু আমরা চাই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হোক।
এদিকে দেনমোহর আদায়ের ব্যর্থ প্রচেষ্টায় সর্বশেষ গত ১৯এ সেপটেম্বর ২০১৭ সালে জয়পুরহাট আদালতে নারী শিশু ও নির্যাতন ট্রাইবুনালে একটি মিথ্যে মামলা দায়ের করে সুমি ও তার পরিবার। যাতে রাজ্জাকের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য নিয়ে মানহানিকর মিথ্যে তথ্য উল্লেখ করা হয় এবং সুমিকে বিভিন্ন নির্যাতন ও নিপিড়নের কথাও বলা হয়। শশুর বাড়িতে গিয়ে ভড়া মজলিসে জামায় কাউকে নির্যাতন করেছে এধরনের অপ্রিতিকর ঘটনা ঘটেছে প্রতিবেসিরাও বলতে পারে না এ বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়রা বলছেন,সুমি আক্তার কোনো দিন শ্বশুর বাড়িতেই যান নাই৷ তাছাড়া মামলায় যে রাজ্জাকেই আসামী করা হয়েছে তিনি ঘটনার দিন নিজ বাড়িতেই ছিলেন ৷
মিথ্যে মামলায় অভিযুক্ত রাজ্জাক বলছেন, আমাকে দীর্ঘদিন ধরে ৪টি মামলা করেন মামলা নং ৩৪/১৮নাঃরাষ্ট/৫৮/১৭পাঃ/২২/৬রাষ্ট/২০১৯/সর্বশেষ ৩/০১/২০২১ এনজিআর ১০রাষ্ট্র/মামলা দিয় আমার স্ত্রী ও তার পরিবার মিলে বিভিন্নভাবে মানষিকভাবে হয়রানি করে আসছে, তারা স্থানীয় বিচার ব্যবস্থাকে অমান্য করে জয়পুরহাট নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুনালে গিয়ে মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়েছে। এসব হয়রানিতে আমি সবকিছু হারিয়ে ফেলছি। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল৷ আইন নিশ্চয় সত্যের পক্ষে কথা বলবেন। দির্ঘ চার বছর পর নারী শিশু নির্যাতন মামলার সত্যতা না পাওয়ায় আঃ রাজ্জাকে ৩৪/১৮ নারী শিশু মামলা থেকে খালাস দিয়েছে৷ বাদিনি ও মিথ্যে মামলার স্বাক্ষ প্রদানকারীরদের বিরুদ্ধে মামরার প্রস্তুতি নিয়েছি৷ সর্ব শেষ সুমি আবারও কালাই থানায় বাদি হয়ে ৬৩৫ জিডি মুলে এনজিআর ১০/ ৩/১/২০২১ তারিখে মিথ্যে মামলা করেন
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসি সেলিম মালিক জানান, মামলাটি নিয়ে আমরা তদন্তে করে যা পেয়েছি আদালতে প্রতিবেদন দিয়েছি এরপরও আমরা চেষ্টা করছি সঠিক তদন্ত করে সত্যতা বের করবো।