কুমিল্লা মহানগর প্রতিনিধি :
কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য ও মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আ.ক.ম বাহাউদ্দিন বাহার বলেছেন-শিক্ষা, সংস্কৃতি ও পথিকৃত কুমিল্লা বর্তমানে সর্বক্ষেত্রেই পরিপূর্ণ। বর্তমানে শুধুমাত্র একজন ডিআইজি, একজন কমিশনার হলেই কুমিল্লাকে বিভাগ করা সম্ভব। এই কুমিল্লা খন্দকার মোস্তাকের কুমিল্লা নয়, এই কুমিল্লা বাবু ধীরেন্দ্রনাথ, ওস্তাদ আয়াত আলী খান, শচীন দেব বর্মণ সহ বহু গুণি ব্যক্তিদের কুমিল্লা। কুমিল্লাকে খাটো করে দেখার কোন সুযোগ নেই। আয়নামতি ময়নামতি নয়, কুমিল্লা নামেই বিভাগ হবে। ১৫ ফেব্রুয়ারী শনিবার সন্ধ্যায় কুমিল্লা টাউন হল মাঠে কাউন্সিলর কাপ টি-২০ ক্রিকেট টূর্ণামেন্ট উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি বাহার এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একদিন স্বপ্ন দেখতেন বিশ্বে আমরাও উন্নত জাতি হিসেবে মাথা তুলে দাঁড়াবো। পাকিস্তানের ২৩ বছরে আমাদের দেশে একজন ক্রিকেট খেলোয়ার, একজন সেনা অফিসার বা একজন ক্যাবিনেট সেক্রেটারী তৈরি হয়নি। আজ যখন দেখি আমাদের দেশের বীর সন্তান আকরাম খানের মত ছেলেরা আইসিসি বিশ্বকাপ জয় লাভ করে তখনই মনে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন হয়েছে। সম্প্রতি আমাদের কুমিল্লার ছেলেরা অনুর্ধ্ব বিশ্বকাপে নেতৃত্ব দিয়ে বিশ্বকাপ জয় লাভ করে তাই বলতে চাই এই কুমিল্লা সব সূচকেই এগিয়ে রয়েছে। তাই জাতির জনকের স্বপ্ন ও তাঁর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার ৪১ এর উন্নত বাংলাদেশ এই কুমিল্লা দিয়েই শুরু হবে ইনশাল্লাহ। পবিত্র কোরআর তেলাওয়াত ও জাতীয় সংগীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে জমকালো এই কাউন্সিলর কাপ টি-২০ ক্রিকেট
টূর্ণামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য উপস্থাপন করেন ক্রিকেট উপ-কমিটির সভাপতি সাইফুল ইসলাম রনি। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো: মনিরুল হক সাক্কু, জেলা প্রশাসক মো: আবুল ফজল মীর, পদোন্নতিপ্রাপ্ত পুলিশ মো: শাখাওয়াত হোসেন, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক মো: আকরাম খান, কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ
সম্পাদক নাজমুল আহসান ফারুক রোমেন ও জাগ্রত মানবিকতার প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক তাহসীন বাহার সূচনা। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করনে কুমিল্লা জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সভাপতি ও মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আরফানুল হক রিফাত। আলোচনা শেষে কাউন্সিলর টি-২০ ক্রিকেট টূর্ণামেন্ট ট্রফি উন্মোচন করেন অতিথিবৃন্দ। সন্ধ্যায় আঁতশবাজি ও দেশ বরেণ্য সংগীত শিল্পীদের অংশ গ্রহনে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠানস্থল মাতিয়ে তোলে।