কুমিল্লার বাজার গুলোতে নিত্যপণ্যের চওড়া দামে দিশেহারা স্বল্প আয়ের মানুষ

অর্থনীতি

এম শাহীন আলম :
বাজারে প্রতিদিনই হু হু করে বেড়ে চলছে নিত্যপ্রয়োজনীয় বেশিরভাগ পন্যের দাম l করোনা কালীন সময় থেকে ধীরে ধীরে দাম বাড়লেও বর্তমানে দামের দিক থেকে নিত্যপণ্যের বাজারে আগুন বললেই চলে,চলতি মাসের প্রথম দিক থেকেই আলুর দাম রেকর্ড করেছে l বর্তমান বাজারে মাছ-মাংসের দাম কিছুটা অপরিবর্তিত থাকলেও  পেঁয়াজ,বিভিন্ন প্রকার মসলা,ধনিয়াপাতা,কাঁচা মরিচ,করলা,টমেটো,বিভিন্ন জাতের বেগুন,বটবটি সহ সকল প্রকার তরকারী-পন্যের কেজিতে দাম বেড়েছে ১৫-২০ টাকা,সরেজমিনে কয়েকটি বাজার ঘুরে  দেখা যায় সর্বনিম্ন ৬০ টাকার নিচে কোন সবজিই নেই বাজারে l এই ভাবে নিত্যপণ্যের লাগামহীন দাম বাড়ার কারনে দিশেহারা হয়ে পড়েছে স্বল্প আয়ের মানুষেরা,এছাড়া দ্রুত পন্যের দাম কমবে এমন সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না l বাজারে সরকারি মনিটরিংও তেমন লক্ষণীয় নয় বললেই চলে ,খুচরা বাজারে অধিকাংশ দোকানে দ্রব্য মূল্যের নাম ,তালিকা,দাম টানানো থাকলেও তা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কার্যকর হচ্ছে না l সরেজমিনে কুমিল্লার পাইকারি খ্যাত নিমসার বাজারে দেখা যায় বিভিন্ন রকমের তরকারীর দাম কিছুটা সহনীয় হলেও খুচরা বাজারে প্রায় তরকারীর দ্বিগুণ হারে দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছে খুচরা বিক্রেতারা l এছাড়া কুমিল্লা সিটির নিউ মার্কেট কাঁচা বাজার,রাজগঞ্জ বাজার,চকবাজার,পদুয়ার বাজার,সুয়াগাজী বাজার,চৌয়ারা বাজার,বিজয়পুর বাজার সমূহের খুচরা বিক্রেতাদের একেই রকম চিএ দেখা যায়,যে যার মতো তরকারি বেশি দাম হাঁকিয়ে ইচ্ছে মতো বিক্রি করছে l সরেজমিনে রাজগঞ্জ বাজারে তরকারী কিনতে আসা গাংচর এলাকার হাবীব দৈনিক শ্রমিক’কে জানান আমি একজন স্বল্প আয়ের ক্রেতা তরকারী কিনতে এসে দাম শোনে আমি হিমসিম খাচ্ছি তিনি আরো জানান গত দু-মাস আগের তুলনায় তরকারী এবং নিত্যপণ্যের দাম দ্বিগুণ হারে বেড়েছে যা আমার মতো স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য কিনা খুব কষ্টকর হয়ে পরেছে l চকবাজার এলাকার জসিম জানান যেভাবে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে মনে হচ্ছে টাকার অভাবে  সংসার চালাতে খুব সমস্যায় পরবো,তিনি আরো জানান নিত্যপণ্যের বাজারে যে দাম বেড়েছে আর কাজ করে যে বেতন পাই তা দিয়ে কি ঘর ভাড়া দেবো নাকি বাজার করে সংসার চালাবো, কুমিল্লা সিটি এবং সিটির আশ-পাশের বিভিন্ন বাজারে ক্রেতাদের সাথে কথা বললে তারা জানান ,পন্যের দাম যতটুকু বেড়ে খুচরা বিক্রেতারা তা আরো দ্বিগুন বাড়িয়ে বিক্রি করছে এই অবস্থাতে বাজারে সরকারি মনিটরিং নিয়মিত থাকলে খুচরা বিক্রেতারা নিজ ইচ্ছা মতো পন্যের দাম বাড়িয়ে নিতে পারতো না,বর্তমানে বাজারে পন্যের দাম মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের তদারকি এবং যথাযথ ব্যবস্থা খুবেই জরুরী l

Leave a Reply

Your email address will not be published.