কুমিল্লার লালমাই পাহাড়ে ছরা কচুর চাষে ঝুঁকছেন শিক্ষিত বেকাররা

ফিচার

মামুন মজুমদার :
কুমিল্লার লালমাই পাহাড়ের মাটির উর্বরতা কারণে অন্যান্য ফসলের তুলনায় কচুর ছরা চাষে লাভ ভালো পাওয়ায় কচু চাষে ঝুঁকছেন অধিকাংশ শিক্ষিত বেকাররা,যা তারা আত্নকর্মসংস্থান হিসেবে বেচে নিয়েছেন।চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও লালমাই পাহাড়ের মাটি কচুর ছরা চাষের উপযোগী হওয়ার কারণে প্রায় ৪৭ হেক্টর জায়গায় ফলন ফলিয়েছেন শিক্ষিত বেকার যুুবক ও চাষীরা।ছরা কচু তরকারি হিসেবে রান্না করে খাওয়া যায় বলে দেশের বিভিন্ন পাইকারি ও খুচরা বাজারে এর চাহিদা রয়েছে ব্যাপক।

লালমাই পাহাড়ের রাজারখোলা গ্রামের ইকবাল হোসেন জানান,পড়াশুনা শেষ করে অনেক চ্রেষ্টা করেও চাকুরী পাচ্ছি না,সেজন্য আত্নকর্মসংস্থান হিসেবে এ ছড়া কচুর চাষকে বেচে নিয়েছি।তাছাড়া অন্য সবজির মতো খুব বেশি একটা যত্ন নিতে হয় না।গোবর সারের পাশাপাশি ইউরিয়া, টিএসপি এগুলো দিয়েছি। এর ফলে গাছ যথেষ্ট পরিমাণে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়ে মোটাতাজা হয়েছে,দেখতে হৃষ্টপুষ্ট লাগছে। আমার দেখাদেখি এখন এলাকার বেকারও কচু চাষ করা শুরু করেছে।এ মৌসুমে কানি খেতে আমার উৎপাদন খরচ পড়বে প্রায় ৪৫ হাজার টাকা।প্রতি কানিতে কচুর ছরা উৎপাদন হয় প্রায় ৭০-৮০ মন।পূর্বের ন্যায় বাজার ভাল থাকলে প্রতি কানিতে ৩৫-৪০ হাজার টাকা লাভ হবে।
তিনি আরো বলেন ‘কচু চাষে কৃষি অফিসারের কাছ থেকে বুদ্ধি-পরামর্শ পাচ্ছি কিন্তু এ পর্যন্ত সরকারী কোন প্রকার সুযোগ-সুবিধা পায় নি কেউ।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মহিউদ্দিন মজুমদার জানান, এ বছর লালমাই পাহাড়ের ৪৭ হেক্টর জায়গায় ২ধরনের ছরা কচুর চাষ হয়েছে।সবসময় আমরা তাদের পরামর্শ দিয়ে থাকি কিন্তু করোনাকালীন সরকারী কোন বরাদ্দ না থাকায় আর্থিক ভাবে কৃষকদের সহযোগীতা করতে পারছি না।

Leave a Reply

Your email address will not be published.