কুমিল্লার সদরে সম্পওি ভাগভাগির জেরে ১ম স্ত্রী ও সন্তানেরা কুপিয়ে পিটিয়ে বাবাকে হত্যার অভিযোগ

অপরাধ

কুমিল্লা সদর প্রতিনিধি :
কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার ১নং কালিরবাজার ইউপির কমলাপুর উত্তর পাড়া গ্রামে দ্বিতীয় বিয়ে ও সম্পত্তি বিরোধ ও আত্মসাৎ’র জেরে প্রথম স্ত্রী ও সন্তান কর্তৃক পিতাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহতের ছোট বোন জাহানারা বেগম, দ্বিতীয় স্ত্রী আনারকলি এবং স্থানীয় প্রতিবেশীদের বরাত দিয়ে জানা যায়, দীর্ঘদিন থেকেই পারিবারিক কলহ চলছিলো। প্রথম স্ত্রী ও সন্তানরা প্রতিনিয়ত মারধর করতো ও মেরে ফেলার হুমকি দিতো, ফলে দ্বিতীয় স্ত্রী ও কন্যাদের নিয়ে নারায়নসার এলাকায় বসবাস করতেন আলি আকবর বাচ্চু । গত কিছুদিন ধরে সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক কলহ বেড়ে যায়। ঈদের আগের দিন নিজ বাড়িতে আসেন তিনি। সম্পত্তি বিরোধের সুত্র ধরে প্রথম স্ত্রী রওশনআরা বেগম ও ছেলে খোকন, রোকন, ছোটন ঈদের দিন সকালে পিতার ওপর চড়াও হয়। ঝগড়ার একপর্যায়ে পিতাকে নির্মমভাবে মারধর করে হাত পা ভেঙে দেয় এবং বটি’দা দিয়ে কুপিয়ে পায়ের রগ কেটে দেয়। বাচ্চু মিয়ার শোর চিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুটে এলেও তাদেরকে বাড়িতে ঢুকতে দেয়া হয় নি। গুরুতর আহত ও রক্তাক্ত বাচ্চু মিয়াকে চিকিৎসা করাতে কিংবা হাসপাতালে নিয়ে যেতে দেয়া হয়নি। খবর পেয়ে দ্বিতীয় স্ত্রী এলাকার লোকজন নিয়ে স্বামীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করালে মঙ্গলবার সকালে তার মৃত্যু হয়। পেশায় ট্রাক চালক বাচ্চু মিয়া কমলাপুর উত্তর পাড়া এলাকার ইব্রাহিম চৌধুরীর ছেলে। এ ঘটনায় নিহতের দ্বিতীয় স্ত্রী আনারকলি বেগম বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় উল্লেখিত আসামীদের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন বলে জানান। খবর পেয়ে নাজিরা বাজার ফাঁড়ি পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। এ ঘটনার পর থেকে নিহতের তিন ছেলে এবং প্রথম স্ত্রী পলাতক রয়েছে। একটি বিশেষ মহলের সহায়তায় মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে সমঝোতার জন্য বাদীকে হুমকি ধমকি, দৌড়ঝাপ ও হত্যাকান্ডের ঘটনাটিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করে ধামাচাপা দিতে আসামিরা তৎপরতা চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন নিহতের পরিবারের সদস্যরা।

কোতোয়ালি থানাধীন নাজিরা বাজার ফাঁড়ি পুলিশের আইসি ইন্সপেক্টর মাহমুদ হাসান রুবেল জানান, পোস্টমর্টেম শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। শুনেছি নিহতের সাথে পরিবারিক বিরোধ রয়েছে সন্তানদের। তদন্ত চলছে পোষ্টমর্টেম রিপোর্ট এলে মৃত্যুর বিস্তারিত জানা যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.


The reCAPTCHA verification period has expired. Please reload the page.