মোঃজুয়েল রানা মজুমদার :
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানার ২ নং চৌয়ারা ইউনিয়ন ২ নং ওয়ার্ডের প্রতাপপুর (হরকল) গ্রামের সর্দার বাড়িতে একদল সন্ত্রাসী পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে পিটিয়ে বৃদ্ধা-শিশুসহ ৫/৬ জনকে আহত করার ঘটনা ঘটেছে।
গত রবিবার ৬/১১/২২ ইং রাত আনুমানিক ৮.০০ ঘটিকার সময় প্রতাপুর সুরুজ মিয়ার ছেলে গোলাম মোস্তফার বাড়িতে রাতের অন্ধকারে ঢুকে। ষাটোর্ধ গোলাম মোস্তফাকে গলায় গামচা পেঁচিয়ে তাকে টেনে হিঁচড়ে গেট থেকে বের করে রাস্তায় নিয়ে তাকে এলোপাতাড়ি ভাবে মারধর করে।জানা যায় যে পাশের বাড়ির আবুল মিয়ার ছেলে বিবাদী মোঃ সাইফুল ইসলাম ও মাহিনুল ইসলাম এর বিল্ডিং এর দ্বিতীয় তলার কাজ সম্পন্ন করে মোস্তফা মিয়ার বিল্ডিং এর উপর পরিত্যক্ত মালামাল ও ময়লা আবর্জনা ফেলে রাখে । পরিত্যক্ত মালামাল ও ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করার কথা বলার কারনে পরিকল্পিতভাবে হত্যাকাণ্ডের উদ্দেশ্যে এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে স্থানীয়রা জানান। ধারালো ছেনী দিয়ে মোস্তফার মাথায় তিন-চারটি কুপ দেন। স্থানীয়রা মোস্তফাকে হসপিটাল নেওয়ার পর বিবাদি সাইফুল ইসলাম ও মাইনুল ইসলাম সহ আরো কয়েকজন মোস্তফার বাড়িতে আবার ঢুকে শিশু ও মহিলাদের উপর আঘাত করে এবং ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর করে। মোস্তফা মিয়া কে প্রথমে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হসপিটালে নিলে কর্তব্যরত ডাক্তাররা তাকে ঢাকায় পাঠানোর জন্য পরামর্শ দেন। ঢাকা নেওয়ার সময় অবস্থা বেগতিক হলে স্থানীয় ট্রমা হসপিটালে ভর্তি করা হয় । আহতরা হলেন গোলাম মোস্তফা (৬০),নাতনী উম্মে নুসরাত নাহিয়ান (১৪), উম্মে নুসরাত নোহা(৯),ও মেয়ের ঘরের নাতনী উম্মে নুসরাত সাবা(১৩),পুত্রবধু বিথী(২৯), বিথী বর্তমানে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি। আহত গোলাম মোস্তফা বর্তমানে ট্রমা হসপিটালের আইসিইউতে আশংকা জনক অবস্থায় আছেন।এই বিষয়ে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।