এম শাহীন আলম :
আগামীকাল কুমিল্লা সদর দক্ষিণের ৫টি ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ভোটকে কেন্দ্র করে নির্বাচনী এলাকায় বিরাজ করছে উৎসব মুখর পরিবেশ। উপজেলা নির্বাচন অফিস ইতিমধ্যে তাদের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। কেন্দ্রগুলোতে ইতোমধ্যে পাঠানো হয়েছে নির্বাচনী সরঞ্জাম।
আগামীকাল ২৮ নভেম্বর ( সোমবার ) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভাবে ভোট গ্রহণ চলবে।ভোটগ্রহণ হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)এ।
বিভিন্ন পদে প্রতিদ্বন্দ্বিকারী প্রার্থীরা গত কয়েকদিন বিরামহীনভাবে ব্যাপক প্রচারণা চালিয়েছেন। নানা প্রতিশ্রুতি নিয়ে ভোটারদের কাছে গিয়েছেন। এখন বাকী ফলাফল। কারা পড়বেন বিজয়ে মালার, এ নিয়ে চলছে আলোচনা।
উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে ২৭৪ জন প্রার্থীর ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ভোটের লড়াইয়ে চেয়ারম্যান পদে ২৬ জন, সাধারণ সদস্য পদে ২০৫ জন ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ৪৩ জন রয়েছে।
শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণের লক্ষ্যে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। নির্বাচনী মাঠে মোতায়েন থাকবে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা। এছাড়াও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট,জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট,মোবাইল টিম ও স্টাইকিং ফোর্স থাকবে। প্রতিটি কেন্দ্রেও মোতায়েন থাকবে নির্দিষ্ট সংখ্যক পুলিশ। কুমিল্লা জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট কামরুল হাসান ২৪ নভেম্বর এক প্রজ্ঞাপনে জানিয়েছেন নির্বাচনী এলাকায় ২৭ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত লাইসেন্স বা আন লাইসেন্সকৃত কোন ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শন করা বা বহন করা যাবে না।
এর আগে সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে নির্বাচনী আঞ্চলিক কর্মকর্তা সকলের উদ্দেশ্যে বলেন, ইতিমধ্যে অনেক জায়গায় নির্বাচন সম্পন্ন করা হয়েছে ইভিএমের মাধ্যমে। এ ইউপি গুলোতেও একই পদ্ধতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।এখানে পেশীশক্তি ব্যবহার করে কেন্দ্র দখল করবেন এমন আশা ভূলে যান, এবারের নির্বাচন হবে বাংলাদেশের মধ্যে মডেল। কাজেই কেউ যদি নির্বাচনী কোন সরঞ্জামের ক্ষতি করে তাকে বাড়িতে ঘুমাতে দেয়া হবেনা। বহিরাগত লোক যদি নির্বাচনী এলাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে সাথে সাথে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে জেল ও জরিমানা করা হবে। উপজেলার ৫টি ইউপিতে ৩ জন ম্যাজিষ্ট্রেটকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। জোড়কানন,পশ্চিম জোড়কানে ইউনিয়নে কুমিল্লার জ্যেষ্ঠ বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট চন্দন কান্তি নাথ,বারপাড়া এ চৌয়ারা ইউনিয়নে জ্যেষ্ঠ বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মাজহারুল হক এবং বিজয়পুর ইউনিয়নে বিচারিক ম্যাজিষ্ট্রেট বেগম ফারহানা সূলতানা । এরা নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠু রাখতে নির্বাচনের পরেও কয়েকদিন এ নির্বাচনী এলাকায় থাকবে জানা যায়।