চূড়ান্তপর্বে পাবনা-কুমিল্লা-কক্সবাজার-নেত্রকোণা

খেলা

অনলাইন ক্রীড়া ডেস্ক :
ওয়ালটন স্মার্ট ফ্রিজ ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২০’ এর চারটি জোনের কাপ ও প্লেট পর্বের ফাইনাল আজ সোমবার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

কাপ পর্বের ফাইনাল জিতে চূড়ান্তপর্বে নাম লিখিয়েছে চারটি দল। দলগুলো হল পাবনা, কুমিল্লা, কক্সবাজার ও নেত্রকোণা। আর প্লেট পর্বে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে নওগাঁ, রাজবাড়ী, রাঙামাটি ও টাঙ্গাইল।

শীতলক্ষ্যা অঞ্চল থেকে চূড়ান্তপর্বে নাম লিখিয়েছে পাবনা জেলা। আজ সোমবার কাপ পর্বের ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে কুষ্টিয়া জেলা দলের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে ঢাকা পর্বে নাম লেখায় পাবনা। এই অঞ্চলের প্লেট পর্বে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে নওগাঁ জেলা। আজ প্লেট পর্বের ফাইনাল ম্যাচে তারা জয়পুরহাটের সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করে।

এদিকে পদ্মা অঞ্চল থেকে চূড়ান্তপর্বে উঠেছে কুমিল্লা জেলা ফুটবল দল। আজ কাপ পর্বের ফাইনালে কুমিল্লা টাইব্রেকারে নারায়ণগঞ্জকে ৫-৩ ব্যবধানে হারিয়ে ঢাকা পর্বে নাম লেখায়। প্লেট পর্বের ফাইনালে শরীয়তপুর জেলাকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে পদ্মা অঞ্চলের প্লেট চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রাজবাড়ী জেলা।

যমুনা অঞ্চলের কাপ পর্বের ফাইনালে চট্টগ্রাম জেলাকে টাইব্রেকারে ৬-৫ ব্যবধানে হারিয়ে চূড়ান্তপর্বের টিকিট পেয়েছে কক্সবাজার জেলা। এই অঞ্চলের প্লেট পর্বে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রাঙামাটি জেলা। আজ প্লেট পর্বের ফাইনাল ম্যাচে তারা নোয়াখালী জেলাকে ৪-২ গোলে হারায়।

কাপ পর্বের ফাইনালে শেরপুর জেলাকে টাইব্রেকারে ৪-২ ব্যবধানে হারিয়ে মেঘনা অঞ্চল থেকে চূড়ান্তপর্বে উঠেছে নেত্রকোণা জেলা। এই অঞ্চলের প্লেট চ্যাম্পিয়ন হয়েছে টাঙ্গাইল জেলা। আজ সোমবার প্লেট পর্বের ফাইনালে তারা ৪-০ গোলে হারিয়েছে ময়মনসিংহ জেলাকে।

এদিকে সেবা অঞ্চলের ‘খ’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়। আজ কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে জাহাঙ্গীরনগর বিশ^বিদ্যালয়কে ৩-১ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়। সেবা অঞ্চলের ‘গ’ গ্রুপের ম্যাচে বাংলাদেশ কৃষি বিশ^বিদ্যালয়কে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়।
১৩ বছর পর বঙ্গবন্ধুর নামে মাঠে গড়ানো এই টুর্নামেন্টে জেলা ফুটবল দলগুলোকে পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, শীতলক্ষ্যা, ব্রহ্মপুত্র, বুড়িগঙ্গা, চিত্রা ও সুরমা জোনে ভাগ করা হয়। সুরমা বাদে প্রতি অঞ্চলে আটটি করে দল রয়েছে। আট দলকে চার জোড়ায় ভাগ করে নকআউট পদ্ধতিতে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়।

প্রথম রাউন্ডে জয় পাওয়া চারটি দল দ্বিতীয় রাউন্ডে উন্নীত হয়। এই চার দলের মধ্যে আবার দুই জোড়া করে নকআউট পর্বে খেলা অনুষ্ঠিত হয়। এখান থেকে জয়ী দুটি দলের মধ্যে জোনাল চ্যাম্পিয়নের লড়াই হচ্ছে। জোনাল চ্যাম্পিয়ন দল চূড়ান্তপর্বে খেলবে। আট জোন থেকে আটটি ও সার্ভিসেস দল থেকে দুটিসহ মোট ১০টি দলকে নিয়ে চূড়ান্তপর্বের খেলা অনুষ্ঠিত হবে।

জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনগুলোকে এই চ্যাম্পিয়নশিপ উপলক্ষে ১ লাখ ৫০ হাজার ও সার্ভিসেস, বিশ্ববিদ্যালয় ও বোর্ডকে ৫০ হাজার টাকা অংশগ্রহণ ফি দিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। প্রত্যেক দলকে দুই সেট জার্সি দেওয়া হয়েছে। ঘরের মাঠে লাল জার্সি ও অ্যাওয়ে ম্যাচে সবুজ জার্সি পড়ে খেলা হচ্ছে।

ওয়ালটন গ্রুপের পৃষ্ঠপোষকতায় অনুষ্ঠিত এই টুর্নামেন্টে ৬৩টি জেলা ফুটবল দল, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় দল, শিক্ষা বোর্ড ও সার্ভিসেস দলসহ মোট ৭৮টি দল অংশ নিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.


The reCAPTCHA verification period has expired. Please reload the page.