মোহাম্মদ মুনতাসীর মামুন :
র্যাব-৮, সিপিসি-১, পটুয়াখালী ক্যাম্প গত ০৮/১/২০২২ইং তারিখ রাত আনুমানিক ২১:৫০ ঘটিকায় বরগুনা জেলার পাথারঘাটা থানায় একটি অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযান পরিচালনাকালে রাত আনুমানিক ১৮:১০ ঘটিকার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানিতে পারি যে, বরগুনা জেলার পাথরঘাটা থানাধীন চরদুয়ানী বাজারে এলাকায় একজন ব্যক্তি দুইটি বন্যপ্রাণী ‘‘তক্ষক’’ অবৈধ ভাবে বিক্রয়ের জন্য অবস্থান করছে। প্রাপ্ত গোয়েন্দা সংবাদের ভিত্তিতে কোম্পানী অধিনায়ক লেঃ কমান্ডার জনাব মোঃ শহিদুল ইসলাম, (এস), পিসিজিএমএস, বিএন এর নের্তৃত্বে আনুমানিক ২১ঃ৫০ ঘটিকার সময় উল্লিখিত স্থানে পৌঁছাইলে র্যাবের উপস্থিতি টের পাইয়া ০১ জন পালানোর চেষ্টাকালে সঙ্গীয় ফোর্সের সহায়তায় উক্ত আসামীকে ধৃত করি। গ্রেফতারকৃত আসামী নাম হলো মোঃ শাহাআলম (৩৪), পিতা-মৃত মোস্তফা মোল্লা, সাং-দক্ষিন চরদুয়ানী, ৩নং ওয়ার্ড, থানা-পাথরঘাটা, জেলা-বরগুনা। গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে স্বীকার করে পেশায় সে একজন কাঠ ব্যবসায়ী হলেও প্রতারণার মাধ্যমে তক্ষক বিক্রয় করাই তার প্রকৃত ব্যবসা। উদ্ধারকৃত তক্ষক দুইটির যাহার মধ্যে বড়টির দৈর্ঘ্য ১৪ ( চৌদ্দ) ইঞ্চি, যাহার ওজন ১৫৬ (একশত ছাপ্পান্ন) গ্রাম। যাহার মূল্য অনুমান ৫,০০,০০০/- (পাঁচ লক্ষ) টাকা এবং ছোটটির দৈর্ঘ্য ১৩.৫০ (সাড়ে তের) ইঞ্চি, যাহার ওজন ১৬০( একশত ষাট) গ্রাম। মূল্য অনুমান ৪,৫০,০০০/-(চার লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা। সর্বমোট মূল্য (৫,০০০০০+৪,৫০,০০০)= ৯,৫০,০০০/-(নয় লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা। উদ্ধারকৃত আলামতসহ গ্রেফতারকৃত আসামীকে বরগুনা জেলার পাথরঘাটা থানায় হস্তান্তর করা হয়। এ ব্যাপারে র্যাব বাদি হয়ে পাথরঘাটা থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪ এর ২৫-বি ধারা তৎসহ বণ্যপ্রানী (সংরক্ষন ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২ এর ৩৪(খ) ধায়ায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।