রবিউল আলম,গাজীপুর থেকে :
গাজীপুর মহানগর টঙ্গী পূর্ব থানাধীন ৫৭ নং ওয়ার্ড টঙ্গী বাজার মঞ্জুরী আবাসিক হোটেলে চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে ১ নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে টঙ্গী পূর্ব থানায় ৫ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেছে ঐ নারী। মামলা নং- ১৪ তারিখ ১০/০৩/২০২২ ইং ধারা – ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩ এর ৯(১)/৩০। মামলা সুত্রে জানা যায় আসামী আশরাফুজ্জান সাইফুল ইসলাম বাবুল(৪০) পিতা-মৃত, আঃরহমান, সাং- রাজগাতি, থানা- নান্দাইল, জেলা- ময়মনসিংহ। গত ৯ ই মার্চ ২২ ইং তারিখে ফোন করে ঐ নারীকে সার্টিফিকেট সহ টঙ্গী বাজারে তার চেম্বারে আসতে বলে। ঐ নারী সরল বিশ্বাসে সার্টিফিকেট সহ ঐ দিন দুপুর ১২ টার সময় টঙ্গী বাজারস্হ মঞ্জুরী আবাসিক হোটেলের সামনে আসিলে, আসামী আশরাফুজ্জামান সাইফুল ইসলাম বাবুল মঞ্জুরী আবাসিক হোটেলের ৪১৩ নম্বর কক্ষে নিয়া যায়। সেখানে আসামী তাহার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ঐ নারী ধর্ষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করিলে হোটেল মালিক সুজন সহ আরও ৫/৬ জন আসিয়া আসামীকে আটক করিয়া আমার পরিচিত বড় ভাই মাহবুব আলম মানিক(২৬) কে মোবাইলে ঘটনাটি জানাই এবং সে ঘটনাস্হলে আসে।হোটেল মালিক সুজন টঙ্গীর কয়েকজন সাংবাদিককে খবর দেয় তারাও ঘটনাস্হলে হাজির হয়।
সবাই আমার ভাইয়ের সামনে ধর্ষণের বিষয়ে আপোষ মিমাংসার কথা বলিয়া আসামী আশরাফুজ্জামান সাইফুল ইসলাম বাবুলের আত্নীয় স্বজনদের নিকট থেকে নগদ ১ লক্ষ টাকা আনিয়া নিজেদের মধ্যে ভাগ বাটোয়ারা করিয়া নিয়া আসামীকে ছাড়িয়া দেয়। উক্ত ঘটনার বিষয়ে আমি যাহাতে কোন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ না করি হুমকি দিয়া ঘটনাস্হল হইতে চলিয়া যায়। আমার পরিচিত বড় ভাই আমাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়া, পরবর্তিতে থানায় আসিয়া মামলা দায়ের করি। আমি আসামীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানাই। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন টঙ্গী পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জাবেদ মাসুদ বলেন,আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে