মোহাম্মদ আলী সীমান্ত :
গত ১৫ জুলাই(বৃহস্পতিবার) বিকাল ৫:৩০ মিনিটের সময় কাশিমপুর থানধীন দক্ষিন পানিশাইল পদ্মা হাউজিং প্রকল্পে ব্লক-এ, রোড নং-১, বাড়ি নং-৩৯, নির্মানাধীন বিল্ডিং এর ৩য় তলার বাথরুমের ভিতরে উক্ত বাড়ির মালিকের অর্ধ গলিত গলাকাটা মৃতদেহ পাওয়া যায়। কাশিমপুর থানা পুলিশ উক্ত মৃতদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করিয়া ময়না তদন্তের জন্য শহীদ তাজ উদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
যার প্রেক্ষিতে কাশিমপুর থানার মামলা নং-১০,
তারিখ-১৬ জুলাই(শুক্রবার) ধারা- ৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড রুজু হয়।
মামলা রুজু হওয়ার পর জনাব জাকির হাসান, উপ-পুলিশ কমিশনার, অপরাধ (উত্তর) বিভাগ মহোদয়ের তত্বাবধানে তথ্য প্রযুক্তি ও ম্যানুয়েল ইন্টিলিজেন্স এর সহায়তায় অপরাধ (উত্তর) বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুরিশ কমিশনার, জনাব রেজওয়ান আহমেদ এর নেতৃত্ত্বে সহকারী পুলিশ কমিশনার (কোনাবাড়ী জোন), জনাব সুভাশীষ ধর এর অংশগ্রহনে কাশিমপুর থানার একাধিক টিম কাশিমপু্র ও আশুলিয়া থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত ঘটনার সন্ধিগ্ধ হিসাবে আসামী জাহাঙ্গীর আলম সোহাগ(৩৮), পিতা- মোঃ নজরুল হোসেন, মাতা- মোসাঃ সাবানা বেগম, সাং-পূর্ব কুখাপাড়া, থানা+জেলা- নীলফামারী বর্তমান সাং- দক্ষিন পানিশাইল, পদ্মা হাউজিং প্রকল্প (সাদেক এর বাড়ীর ভাড়াটিয়া), থানা- কাশিমপুর, গাজীপুর মহানগরকে তার ভাড়া বাসা হতে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিকভাবে ধৃত আসামী উক্ত হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার ঘটনা স্বীকার করে এবং হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ধারালো ছুরির অংশ বাহির করিয়া দেয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, গত ১৩জুলাই রাত অনুমান ৮টার সময় আসামী জাহাঙ্গীর আলম সোহাগ ভিকটিম এর নির্মানাধীন ৫ম তলা বিল্ডিং এর ৩য় তলায় উঠে ভিকটিম আমিনুল ইসলাম খন্দকার বাবুলকে ফোন করে বলে আপনার নির্মানাধীন ভবনে ২/৩ জন লোক উঠেছে। ভিকটিম আমিনুল ইসলাম খন্দকার বাবুল তখন উপরে উঠে মোবাইল টর্সের আলোতে লোক খুঁজতে থাকে কাউকে না পেয়ে ৩য় তলায় ঘটনাস্থল কক্ষে চেক করার সময় পিঁছন থেকে আসামী তার মুখ চেপে ধরে ২০,০০০/- (বিশ হাজার)টাকা চায়। ভিকটিম টাকা দিতে না চাইলে আসামীর নিকট থাকা ধারালো গার্মেন্টস এর কাটিং ছুরি গলায় ধরে ভয় দেখায়। তখন তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয় একপর্যায়ে আসামীর হাত সামান্য করে কেটে ও ছিলে যায়। ভিকটিম বাচার জন্য আসামীর ডান হাতের আঙ্গুলে কামর দিলে আসামী ভিকটিমের গলায় ধারালো কাটিং ছুরি দিয়া আঘাত করে। ভিকটিম এর মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর আসামী ভিকটিমের পাঞ্জাবীর পকেট থেকে ৯৯৭/- (নয়শত সাতানব্বই)টাকা নিয়ে যায় এবং ভিটিমের মৃতদেহ বাথরুমের ভিতর ঢুকাইয়া দরজা আটকিয়া দেয়।